পাতা:স্বামী - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/১৫

Sk शृक्षी বিশ্ৰী দিকটাকে আমি কুঁহাতে ঠেলে রাখতুম। ৭ কিন্তু শক্রির বদলে যে বন্ধুকেই ঠেলে ফেলচি, তাও টের পেতুম। কিন্তু হ’লে কি হয় ? যে মাতাল একবার কড়া-মদ খেতে শিখেচে, জল দেওয়া মদে আর তার মন ওঠে না! নির্জলা বিষের আগুনে কলজে পুড়িয়ে তোলাতেই যে তখন তার মন্ত সুখ । আর একটা জিনিস। আমি কিছুতেই ভুলতে পারতুম না। সেটা মজুমদারদের ঐশ্বৰ্য্যের চেহারা ! ছেলে বেলা মায়ের সঙ্গে কতদিনই ত তাদের বাড়ীতে বেড়াতে গেছি। সেই সব ঘোর দোর ছবি দেওয়ালগিরি, আলমারি, সিন্দুক, আসবাব-পত্রের সঙ্গে কোন একটা ভাবী ছোট্ট একতালা শ্বশুরবাড়ীর কদাকার মূৰ্ত্তি কল্পনা করে মনে মনে আমি যেন ਵਿਚੋਂ ਚੇਹੈ ! মাসখানেক পরে একদিন সকালবেলা নদী থেকে স্নান ক’রে বাড়ীতে পা দিয়েই দেখি, বারান্দার ওপর একজন প্রৌঢ়-গোছের বিধবা স্ত্রীলোক মায়ের কাছে বসে গল্প কয়চে । আমাকে দেখে মাকে জিজ্ঞাসা করলে, “এইটি বুঝি মেয়ে ?” মা ঘাড় নেড়ে বললেন, “হঁ মী, এই আমার মেয়ে। বাড়ন্ত গড়ন, **[ReخRة "ন্ত্রীলোকটী হেসে বললে, “তা হোক। ছেলেটির বয়সও প্রায় ত্রিশ, দু’জনের মানাবে ভাল। আর ঐ শুনতেই দোজবরে, নইলে যেন कांकि ” আমি দ্রুতপদে ঘরে চলে গেলুম। বুঝলুম, ইনি ঘটক ঠাকুরুণ, আমার সম্বন্ধ এনেছেন । মা চেচিয়ে বললেন, “কাপড় ছেড়ে একবার এসে বোস মা !” কাপড় ছাড়া চুলোয় গেল, ভিজে কাপড়েই দোরের আড়ালে দাঁড়িয়ে কাণ পেতে শুনুতে লাঙ্গুল্ম। বুকের কঁপুনি যেন আৰু গ্ৰামৃতে