পাতা:স্বামী - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/১৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বামী Sø চায় না। শুনতে পেলুম, চিতোর গ্রামের কে একজন রাধাবিনোদ মুখুয্যের ছেলে ঘনশ্যাম। পোড়া কপালে না কি অনেক দুঃখ ছিল, তাই আজ যে নাম জপের মন্ত্র, সে নাম শুনে সেদিন গা জলে शांत ८कन ! শুনলুম, বাপু নেই, কিন্তু মা আছেন। ছোট দুটি তাই এক ভায়ের বিয়ে হয়েচে, একটি এখনও পড়ে। সংসার বড়রই ঘাড়ে, তাই, এনট্রান্স পাশ করেই রোজগারের ধান্দায় পড়া 'ছাড়তে হয়েছে। ধান, চাল, তিসি, পাট প্রভৃতির দালালি ক’রে, উপায় মন্দ করেন না। তারই উপর সমস্ত নির্ভর। তাছাড়া ঘরে নারায়ণ শিলা আছেন, দু’টো গরু আছে, বিধবা বোন আছে-নেই কি ? n — নেই শুধু সংসারের বড় বেী। সাত বছর আগে বিয়ের এক মাসের মধ্যেই তিনি মারা যান, তারপর এতদিন বাদে এই চেষ্টা। সাতবচ্ছর। ঘটকীকে উদ্দেশ করে মনে মনে বলুলুম, “পোড়ারমুখী এতদিন কি তুই শুধু আমার মাথা খেতেই চোখ বুজে ঘুমুচ্ছিলি ?” মায়ের ডাকাডাকিতে কাপড় ছেড়ে কাছে এসে বসলুম। সে আমাকে খুটিয়ে দেখে বললে, “মেয়ে পছন্দ হয়েচে, এখন দিন স্থির কম্বুলেই হ’ল।” মায়ের চোখ দু’টিতে জল টলটলে কযুতে লাগল, বললেন, “তোমার মুখে ফুলচন্দন পড়ুক মা, আর কি বলব!” - “ মামা শুনে বললেন, “এনট্রান্স ? তবে ব’লে পাঠা, এখন বছদ্র দুই সন্ধুর কাছে ইংরেজি পড়ে যাক, তবে বিয়ের কথা কওয়া যাবে।” মা বলুলেন, “তোমার পায়ে পড়ি দাদা, অমত কোরো না, এমন । সুবিধে আর পাওয়া যাবে না। দিতে থুতে কিছু হবে না-” মামা বললেন “তাহলে হাত-পা বেঁধে গঙ্গায় দিগে যা, সেও এক अग्रगा फ्राईएवं ना |” মা বললেন, “পনেরায় পা দিলে যে-”