পাতা:স্বামী - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SS স্বামী সকালে ঘুম ভেঙ্গে দেখলুম, স্বামী ঘরে নেই, কখন উঠে গেছেন। হঠাৎ মনে হ’ল, স্বপন দেখিনি তা ? কিন্তু চেয়ে দেখি, সেই ওষুধের শিশিটা তখনও শিয়রের কাছে রয়েছে। কি যেন মনে হ’ল, সেটা বার বার মাথায় ঠেকিয়ে তবে কুলুঙ্গিতে রেখে বাইরে এলুম। শাশুড়ী-ঠাকরুণ সেই দিন থেকে আমার ওপব যে কড়া নজর রাখছিলেন, সে আমি টের পেতুম। আমিও ভেবেছিলুম, মরুকৃ গে, আমি কোন কথায় আর থাকুব না। তাছাড়া দু'দিন আসতে না আসতে স্বামীর খাওয়া-পরা নিয়ে ঝগড়া-ছি ছি, লোকে শুনলেই বা বলুবে কি ? কিন্তু কবে যে এর মধ্যেই আমার মনের ওপর দাগ পড়ে গিয়েছিল, কবে যে তঁার খাওয়া-পরা নিয়ে ভিতরে ভিতরে উৎসুক হ’য়ে উঠেছিলুম, সে আমি নিজেই জানতুম না। তাই, দু’টো দিন যেতে-না-যেতেই আবার একদিন ঝগড়া ক’রে ফেলুলুম। আমার স্বামীর কে একজন আড়ৎদার বন্ধু সেদিন সকালে মস্ত একটা রুইমাছ পাঠিয়েছিলেন। স্নান কবৃতে • পুকুরে যাচ্ছি, দেখি, বারান্দার ওপর সবাই জড় হয়ে কথাবাৰ্ত্তা হচ্ছে। কাছে এসে দাঁড়ালুম, মাছ কোটা হয়ে গেছে। মেজ-জা তরকারী কুটচেন, শাশুড়ী ব’লে বলে দিচ্ছেন -এটা মাছের ঝোলের কুটুনো,-ওটা মাছের ডালনার কুটুনো ওটা মাছের অন্বলের কুটনো, এমনি সমস্তই প্ৰায় আঁসিরান্না। আজ একাদশী—ষ্ঠার এবং বিধবা মেয়ের খাবার হােঙ্গামা নেই, কিন্তু আমার স্বামীর জন্য কোন ব্যবস্থাই দেখলুম না। তিনি বৈষ্ণব-মানুষ, মাছ মাংস ছতেন না। একটু ডাল, দুটাে তাজাভুজি, একটুখানি অম্বল হ'লেই র্তার খাওয়া হ’ত। অথচ, ভাল খেতেও তিনি ভালবাসতেন। একআধা দিন একটু ভাল তরকারি হলে তার আহ্লাদের সীমা থাকৃত না, wstę Gtęfs