পাতা:স্বামী - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

KOS স্বামী অম্বল হবে। তুমি না পারে, একটা উনুন ছেড়ে দাও, আমি এসে রাধাৰ্চি”, ব’লে আর কোন তর্কান্তকির অপেক্ষা না ক’রে স্নান কয়ুতে চ’লে গেলুম। স্বামীর বিছানা আমি রোজ নিজের হাতেই কবুতুম। এই ধপধাপে শাদা বিছানাটির উপর ভেতরে ভেতরে আমার যে একটা লোভ জন্মাচ্ছিল, হঠাৎ এত দিনের পর আজ বিছানা করুবার সময় সে কথা জানতে পেরে, নিজের কাছেই যেন লজ্জায় ম'রে গেলুম! ঘড়িতে বারোটা বাজাতে তিনি শুতে এলেন। কেন যে এত রাত পৰ্য্যন্ত জেগে বসে বই পড়ছিলুম, তার পায়ের শব্দ সে খবর আজ এমনি স্পষ্ট করে আমার কাণে কাণে ব’লে দিলে যে, লজ্জায় মুখ তুলে চাইতেও পাবুলুম না । স্বামী বললেন, “এখনো শোওনি যে ?” আমি বই থেকে মুখ তুলে ঘড়ীর পানে তাকিয়ে যেন চমকে উঠলুম। —“তাই ত, বারোটা বেজে গেছে!” কিন্তু, যিনি সব দেখতে পান, তিনি দেখেছিলেন, আমি পাঁচ মিনিট অন্তর ঘড়ী দেখেছি। স্বামী শয্যায় বসে একটু হেসে বললেন, “আজ আবার কি হাঙ্গামা বাধয়েছিলে ?” বেলুলুম, “কে বলুলে ?” তিনি বললেন, “সেদিন তোমাকে ত বলেছি, আমি হাত গুণতে छानि ।।” বলুলুম, “জানলে ভালই! কিন্তু, তোমার গোয়েন্দার নাম না বল, তিনি কি কি দোষ আমার দিলেন শুনি ?” তিনি বললেন, “গোয়েন্দা দোষ দেয়নি, কিন্তু আমি দিচ্ছি। আচ্ছা! জিজ্ঞেস করি, এত অল্পে তোমার এত রাগ হয় কেন ?”