পাতা:স্বামী - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ves স্বামী স্বামী বললেন, “ছি তা কি হয়! আমি সমস্তু ঠিক ক’রে দিয়ে যাচ্চি, তুমি সামনে না বা’র হও, আড়াল থেকে গুছিয়ে গাছিয়ে দিয়ে৷ ” এই ব’লে তিনি झेंद्र סוס6*6 ושט"ק সেই দিন পাঁচ মাস পরে আবার নরেনকে দেখলুম। দুপুরবেলা সে খেতে বসেছিল, আমি রান্নাঘরের দোরের আড়ালে ব’সে কিছুতেই চোখের কৌতুহল থামাতে পাৰ্বলুম না। কিন্তু চাইবামীত্রেই আমার সমস্ত মনটা এমন একপ্রকার বিতৃষ্ণায় ভ’রে গেল য়ে, সে পরকে বোঝানো ? শক্ত। মস্ত একটা তেঁতুলবিছে একেবেঁকে চ’লে যেলে দেখলে সৰ্বাঙ্গ যেমন ক’রে ওঠে, অথচ যতক্ষণ সেটা দেখা যায়, চোখ ফিরুতে পারা যায় না, ঠিক তেমনি কোরেই আমি নরেনের পানে চেয়ে রইলুম। ছি, ছি, ওর ওই দেহটাকে কি কোরে যে একদিন ছুয়েছি, মনে পড়তেই সৰ্ব্বশরীর কঁাটা দিয়ে মাথার চুল পৰ্য্যন্ত আমার খাড়া হয়ে উঠল। খেতে খেতে সে মাঝে মাঝে চোখ তুলে চারিদিকে কি যে খুজছিল, সে আমি জানি। আমাদের রাধুনী কি একটা তরকারি দিতে গেলে, সে হঠাৎ যেন ভারি আশ্চৰ্য্য হ’য়ে জিজ্ঞাসা করলে, “হাঁ গাঁ, তােমাদের বড়-বোঁ যে বড় বেরুলো না ?” • রাধুনী জানত যে, ইনি আমাদের বাপের বাড়ীর লোক-গ্রামের 'জমীদার। তাই বোধ করি খুসী করবার জন্যই হাসির ভঙ্গীতে এককুড়ি মিথ্যে কথা বলে তার মন যোগালে। বললে, “কি জানি বাবু, বড় বৌ-মার ভারি লজ্জা-নইলে তিনিই ত আপনার জন্য আজ নিজে •রাধলেন। রান্নাঘরে ব’সে তিনিই তা আপনার সব খাবার এগিয়ে গুছিয়ে দিচ্চেন। লজ্জা কোরে কিন্তু কম-যম খাবেন না বাবু, তাহলে তিনি বড় রাগ করবেন, আমাকে বলে দিলেন।” মানুষের শয়তানীর অন্ত নেই, দুঃসাহসেরও অবধি নেই। সে স্বচ্ছন্দে মেহের হাসিতে মুখখানা রান্নাঘরের দিকে তুলে চেচিয়ে বললে, “আমার