পাতা:স্বামী - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৪৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8C স্বামী আজকের দিনের প্রতীক্ষা ক’রেই পথ চেয়েছিলুম। তার পরে হয় ত একদিন শুনতে পাবে, যেখান থেকে উঠে এসেচি, তার কাছেই ফিরে চ’লে গেছি। কিন্তু তোমায় কাছে এই আমার শেষ নিবেদন রইল, সদু, বেঁচে থাকৃতে যখন কিছুই পেলুম না, মরণের পরে যেন ঐ চোখের দু'ফোটা জল পাই। আত্মা ব’লে যদিও কিছু থাকে, তার তাতেই তৃপ্তি হবে।” আমার হাতটা তার হাতের মধ্যেই রহিল-চুপ ক’রে বসে রইলুম। এখন ভাবি, সেদিন যদি ঘূণাগ্রেও জানতুম, মানুষের মুনের দাম এই একেবারে উল্টো ধারায় বইয়ে দিতে এইটুকু মাত্র সময়, এইটুকু মাত্র মাল-মসলার প্রয়োজন, তা হ’লে যেমন কোরে হােক, সেদিন তার হাত ছাড়িয়ে নিয়ে জানালা বন্ধ করে দিতুম, কিছুতে তার একটা কথাও কাণে ঢুকতে দিতুম না। কটা কথা, ক’-কেঁটা চোখের জলই বা তার খরচ হয়েছিল ? কিন্তু নদীর প্রচণ্ড-স্রোতে পাতা শুদ্ধ শব্লগাছ যেমন কোরে কঁাপিতে থাকে, তেমনি কোরে আমার সমগ্ৰ দেহটা কঁাপিতে লাগল, মনে হ’তে লাগল, নরেন যেন কোন অদ্ভুত কৌশলে আমার পাঁচ আঙ্গুলের ভেতর দিয়ে, পাঁচশ' বিদ্যুতের ধারা আমার সর্বাঙ্গে বইয়ে দিয়ে, আমার পায়ের নখ থেকে চুলের ডগা পৰ্য্যন্ত অবশ করে আনাচে। সেদিন মাঝখানের সেই লোহার গরাব্দেগুলো যদি না থাকৃত, আর সে যদি আমুকে টেনে তুলে নিয়ে পালাতে, হয় তা আমি একবার চোতে পৰ্য্যন্ত পাবৃতুম না-ওগো, কে আছ, আমায়ু রক্ষা কর।” দু’জনে কর্তৃক্ষণ এমন শুদ্ধ হয়ে ছিলুম, জানিনে, সে হঠাৎ বলে উঠিল, 'ਸ “८कन ?” “তুমি ত বেশ জানো, আমাদের মিথ্যে শান্ত্রিগুলো শুধু মেয়ে মানুষকে বেঁধে রাখবার শেকল মাত্র। যেমন কোরে হোক, আটকে রেখে তাদের