পাতা:হত্যাকারী কে? - পাঁচকড়ি দে.pdf/১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যোগেশচন্দ্রের কথা SS চক্ষু কালিমাঙ্কিত। বিষাদ-বিদীর্ণ হৃদয়ে লীলাকে দেখিতে লাগিলামক্ষণেকে আমার আপাদমস্তক স্বেদাক্ত হইল। কি আশ্চৰ্য্য, দুই বৎসরে মানুষের এমন ভয়ানক পরিবর্তনও হয় । মনে মনে ঈশ্বরের নিকটে প্রার্থনা করিলাম, হে করুণাময় ! হে অনাথের নাথ ! দীনের অবলম্বন, নিরাশ্রয়ের আশ্ৰয় । যাহার আশা আমি ত্যাগ করিয়াছি-যাহার চিন্তাতেও আমার আর অধিকার নাইকেন প্ৰভু ! আবার তাহাকে এ মূৰ্ত্তিতে আমার সম্মুখে ধরিলে ? ' প্ৰভো ! আমার হৃদয় অসহ্য বেদনাভারে ভাঙিয়া-চুরিয়া যাক, অবিশ্রান্ত তুষানলে পুড়িয়া খাক হইয়া যাক, ক্ষতি নাই ; লীলাকে সুখী কর—তাহার অন্ধকার মুখ হাসিন্মাখা করিয়া দাও । আমি আর কিছুই চাহি না । তৃতীয় পরিচ্ছেদ আমাকে দেখিতে পাইয়া লীলা মাথায় কাপড় দিল । এবং তাড়াতাড়ি উঠিয়া, জড়সড় হইয়া লজ্জানস্রমুখে। যেমন ঘরের বাহির হইতে যাইবে, তাহার ললাটের একপাশ্বে কাবাটের আঘাত লাগিল । লীলা সরিয়া দাড়াইল । আমি কতকটা অপ্রকৃতিস্থভাবে তাহাকে বলিলাম, “লীলা, বসে । তুমি কি আমাকে চিনিতে পার নাই ?” আমার বিশ্বাস-লীলাকে চিনিতে প্ৰথমে আমার মনে যেমন একটা গোলমাল উপস্থিত হইয়াছিল, সেইরূপ তাহারও কিছু একটা ঘটিয়া থাকিবে । এ লীলা, সে লীলার মত নয় বলিয়া আমার মনে এইরূপ ধারণা হইয়াছিল। যাক, এমন সময়ে পার্শ্ববৰ্ত্তী গৃহমধ্যস্থ কোন দুগ্ধপোস্য শিশুর করুণ ক্ৰন্দন শ্রুত হইল। লীলা মৃদুনিক্ষিপ্ত শ্বাসে “আসছি” বলিয়া ঘরের दॉझिंद्र ठ्ठद्देश ८१व् । ‘আমি চিন্তিত মনে রুগ্নার শয্যার পাশ্বে গিয়া দাড়াইলাম । রুগ্ন।