পাতা:হত্যাকারী কে? - পাঁচকড়ি দে.pdf/১২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

> R হত্যাকারী কে ? নিদ্ৰিতা । অন্যদিকে মুখ ফিরাইয়াছিলেন, সুতরাং আমি পূর্বে তাহা বুঝিতে না পারিয়া জিজ্ঞাসা করিলাম, “এখন কেমন আছেন ?” তাহাতেই তঁাহার নিদ্রাভঙ্গ হইল। আমাকে দেখিয়াই বসিতে বলিলেন। আমি তাহার শয্যার একপার্থে বসিলাম । তাহার পর তিনি বলিতে লাগিলেন, “বড় ভাল নয়। বাবা, এ যাত্রা যে রক্ষা পাইবে, এমন বোধ হয় না। নরেন রহিল, লীলা রহিল, উহাদের তুমি দেখিয়ো। আমি জানি, তুমি উহাদের ছোট ভাই-বোনের মত দেখ ; এখন উহাদের আর কেহ রহিল না ; তুমি দেখিয়ো । তুমি উহাদের বড় ভাই ।” আমি বলিলাম, “সেজন্য আমাকে বিশেষ কিছু বলিতে হইবে না। নরেন ও লীলা আমাকে যে বড়দাদার ন্যায়। ভক্তি করে, তাহা কি আমি জানি না ? আমি আজীবন তাহদের মঙ্গল-চেষ্টা করিব। ঈশ্বরের ইচ্ছায় আপনি এখন শীত্র আরোগ্য লাভ করিলে সকল দিক রক্ষা হয় ।” নরেন্দ্রের মাতা বলিলেন, “না। বাবা, আর বঁাচিতে ইচ্ছা নাই। নরেনের জন্য ভাবি না, সে বেটা ছেলে, লেখাপড়া শিথিয়াছে, বড়ঘরে তাহার বিবাহও দিয়াছি-সে। যেমন করিয়া হউক, আজি না হয়, দুদিন পরেও মাথা তুলিয়া দাড়াইতে পরিবে। কেবল লীলার জন্য—লীলার স্বামী মাতাল-বদরাগী লোক-আমার সোণার লীলার যে দশা করিয়াছেদেখিলে চোখে জল আসে। লীলার জন্য আমার মরণেও সুখ হইবে না । লীলা এখন এখানে আছে, অনেক করিয়া। তবে তাহাকে এবার আনিয়াছি।” আমি বলিলাম, “হঁ, এইবার আমি তাহাকে দেখিয়াছি-আমি প্ৰথমে कौलांकि 5िनिऊ १iद्धि नांश् ।।” দীর্ঘনিশ্বাস ফেলিয়া জননী বলিলেন, “লীলা এখন সেই রকমই হইয়াছে।” তাহার চক্ষে দুইবিন্দু অশ্রু সঞ্চিত হইল। তাহার পর বলিলেন, “লীলার একটী ছেলে হইয়াছে-দেখা নাই ?” আমি শুষ্ক হস্যের সহিত বলিলাম, “না ।”