পাতা:হত্যাকারী কে? - পাঁচকড়ি দে.pdf/১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্থ পরিচ্ছেদ পাশের ঘরে লীলা ছিল, লীলার মা তাহাকে ডাকিয়া বলিলেন, “লীলা, প্ৰবোধৰ্চাদকে একবার এ ঘরে নিয়ে আয়-তোর যোগেশ দাদা এসেছে – দেখাবে।” বলা বাহুল্য, শিশুর ক্ৰন্দনে এবং লীলার ব্যস্ততায় তাহা আমি পূর্বেই বুঝিতে পারিয়াছিলাম। অনতিবিলম্বে শিশুপুত্র ক্ৰোড়ে লীলা আমাদিগের ঘরে প্রবেশ করিল-দেখিলাম, সেই সেদিনের খেলাঘরের বালুকাকে অল্পে, কচুপাতাকে ঘণ্টে, ইটের ক্ষুদ্র টুকরাগুলিকে মৎস্যে এবং পরমান্নে পরিণত * করিবার অসীমক্ষমতাধারিণী পাচিক, হাস্য চপল ছোট লীলা আজ মাতৃপদাধিষ্ঠাত্রী। লীলা গৃহতলে বসিল। শৈশবে দুইজনে একসঙ্গে খেলা করিয়াছি, ছুটাছুটি করিয়াছি, ঝগড়া করিয়াছি, আবার ভাব করিয়াছি; ভাবের পর একসঙ্গে বসিয়া কত গল্প করিয়াছি। বুঝিতে পারিলাম না, কেমন করিয়া কোন দিন সহসা সে শৈশবস্বৰ্গচ্যুত হইলাম। শুধু স্মৃতিমাত্র রহিয়া গেল। যাহা হউক, যদিও এখন সে লীলা নাই, তথাপি লীলা আমাদের পাড়ার মেয়ে, তাহাকে আমি এতটুকু হইতে দেখিয়া আসিতেছি, আমাকে দেখিয়া তাহার লজ্জা করিবার কোন আবশ্যকতা ছিল না। সে মাথায় একটু কাপড় দিয়া বসিল। আমি সস্নেহে তাহার শিশুপুত্রকে বুকে করিলাম। দিব্য সুন্দর টুকটুকে ছেলেটি-মুখ, চোখ ও কপালের গড়ন ঠিক লীলারই মত। বুঝিলাম, লীলাকে প্ৰবােধ দিতেই এই প্ৰবােধৰ্চাদের জন্ম, এবং লীলা হইতে তাহার এইরূপ নামকরণ। ; তাহার পর লীলার মাতা লীলার অদৃষ্টকে শতবার ধিক্কার দিয়া এবং লীলার স্বামীর প্রতি অনেক দুৰ্বাচন প্রয়োগ করিয়া নিন্দাবাদ করিতে