পাতা:হত্যাকারী কে? - পাঁচকড়ি দে.pdf/১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 হত্যাকারী কে ? লাগিলেন। তাহাতে লীলার মলিন মুখ আরও অপ্ৰসন্ন হইয়া উঠিল । স্বামীনিন্দ হিন্দুরমণীমাত্রেরই নিকটে অগ্ৰীতিকর। তা লীলা শিক্ষিতা এবং সৎকুলোদ্ভব। লীলার স্বামীভক্তি অচলা হউক, লীলার চরিত্রহীন স্বামী দেবতুল্য হউক, লীলা সুখী হউক, আমি তাহাতেই সুখী। পঞ্চম পরিচ্ছেদ লীলার মা সে যাত্রা রক্ষা পাইলেন না । তঁহার পবিত্র আত্মা পরলোকগীত স্বামীর উদ্দেশে চলিয়া গেল । দুই মাস পরে পিতৃমাতৃহীনা লীলা স্বামিংগৃহে উপস্থিত হইল এবং পূর্বের ন্যায়। এবারেও দুর্ভাগিনী, কাণ্ডজ্ঞানহীন মদ্যপ স্বামীর নিকটে উৎপীড়িত হইতে লাগিল । ক্ৰমে আমি ধৈৰ্য্য হারাইলাম। যেমন করিয়া পারি, লীলার কষ্ট দূর করিতে হইবে। কি উপায় করি ? অনেক চিন্তার পর স্থির করিলাম, পূর্বে শশিভূষণের সহিত আমার খুব বন্ধুত্ব ছিল—আবার তাহার সহিত সেই বন্ধুত্ব গাঢ় করিয়া তুলিতে হইবে। যদি তাহার সহিত মিলিয়া মিশিয়া ক্ৰমে তাহার সেই হোয়তম। ঘূণ্য চরিত্রের কিছুমাত্র সংশোধন করিতে পারি। কাৰ্য্যে তাহাই ঘটিল। আমি মধ্যে মধ্যে-তাহার পর প্রত্যহ শশিভূষণের সহিত সাক্ষাৎ করিতে আরম্ভ করিলাম। উভয়ের মধ্যে আবার ঘনিষ্ঠতা নামক পদার্থটি অত্যন্ত নিবিড় হইয়া আসিতে লাগিল । এখন তাহদের বাড়ীতে গেলে শশিভূষণ আমাকে যথেষ্ট খাতির যত্ন করিত । দুই-চারি দিনের মধ্যে কথায় কথায় বুঝিতে পারিলাম, শশিভূষণ লীলাকে অত্যন্ত ভালবাসে। শুনিয়া সুখী হইলাম বটে, কিন্তু অত্যন্ত ভালবাসার উপরে এ অত্যন্ত অত্যাচারের কারণ কিছুতেই নিৰ্দ্ধারণ করিতে । प्रद्भिन्नं न ।