পাতা:হত্যাকারী কে? - পাঁচকড়ি দে.pdf/১৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Su হত্যাকারী কে ? না। আমার মনের ভিতরে কি বিষের হস্কা বহিতেছে, কে জানিবে ? মদ খাইয়া অনেকটা ভাল থাকি । ইহার ভিতরে অনেক কথা আছে। কথাটা শুনিয়া যাও, এ পৃথিবীতে আমার মত তোমার ঘোরতর শক্ৰ আর কেহ নাই। আমি জানি, তুমি লীলাকে ভালবাসিতে এবং লীলার সহিত “তোমার বিবাহ হইবে ; কিন্তু-” শুনিয়া আমি আপাদমস্তক শিহরিয়া উঠিলাম। শশিভূষণ সেদিকে লক্ষ্য না করিয়া বলিতে লাগিল, “লীলা যে তোমাকে ভালবাসে, আমি সে কথা অনুভব করিতে একবারও চেষ্টা করি নাই। যেদিন আমি সৌন্দৰ্য্যমণ্ডিতা লীলাকে দেখিলাম, সেইদিন হইতে তাহার জন্য একটা অদম্য আকাজক্ষায় আমার সমগ্ৰ হৃদয় পরিপূর্ণ হইয়া উঠিল। স্নেহ, মমতা, প্ৰেম প্রভৃতির অস্তিত্ব যে আমার হৃদয়ে আছে, সে সম্বন্ধে আমার নিজেরই কিছুমাত্র বিশ্বাস ছিল না, কিন্তু যেদিন দেবী-প্ৰতিমার ন্যায়। অশেষ মহিমময়ী লীলাকে দেখিলাম, শত সৎপ্রবৃত্তি যেন হৃদয়দ্বার উদঘাটন করিয়া, সেই দেবী-প্ৰতিমার অর্চনার জন্য সহস্ৰ ব্যগ্র-বাহু প্রসারণ করিয়া একেবারে আকুল হইয়া উঠিল। সন্ধান লইয়া জানিলাম, তোমার সহিত লীলার বিবাহ হইবে । সেজন্য লীলার মা আর নরেন্দ্ৰনাথের যথেষ্ট আগ্রহ আছে । আর তোমার আর্থিক অবস্থা যেমনই হউক, তোমার সচ্চরিত্ৰতার উপর তঁহাদের একান্ত বিশ্বাস । স্থির করিলাম, নিজের অভিষ্ট সিদ্ধির জন্য তাহাদের সে অনন্ত বিশ্বাস দ্রুত ভাঙিতে হইবে।” আমি স্তম্ভিত হৃদয়ে সংযতশ্বাসে তাহার হৃদয়হীনতা ও পাষণ্ডপণার স্বায়ুণ্য কাহিনী শুনিতে লাগিলাম । “তাহার পর তোমার রুগ্ন মাতাকে লইয়া তুমি বৈদ্যনাথ চলিয়া গেলে। আমি সুযোগ অনুসন্ধান করিতে লাগিলাম। তুমি যেদিন যাও, তাহার দুইদিন পূর্বে বোধ হয় শুনিয়া গিয়াছিলে, হরিহর মুখোপাধ্যায়ের বিধবা কন্যাটি সহসা অন্তহিত হইয়াছে ; সে কাজ আমারই । আমিই সেই