পাতা:হত্যাকারী কে? - পাঁচকড়ি দে.pdf/১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যোগেশচন্দ্রের কথা Sch ব্ৰাহ্মণকন্যা মোক্ষদাকে গ্রামের বাতিরে- কেহ না সন্ধান করিতে পারেএমন একটি গুপ্ত স্থানে রাখিয়াছিলাম। সমাজের চক্ষে মোক্ষদা যতই কেন দোষী হউক না, সে তাহার দোষ নহে, তাহাদিগের কৌলীন্য-প্রথার দোষ। তোমরা বৈদ্যনাথ যাইবার ছয় মাস পূর্বে মোক্ষদার সহিত আমার পরিচয় হয়। মোক্ষদা আমার্কে খুব ভালবাসিত—এখনও তাঁহার সেই ভাব। হায়, যদি তাহারািঠ সেই নিঃস্বাৰ্থ ভালবাসায় চিরমুগ্ধ থাকিতাম— যদি রূপৈশ্বৰ্য্যময়ী লীলা আমার চোখে না পড়িত ; এবং সেই একবার দর্শনে আমার সমগ্ৰ হৃদয় মোহময় করিয়া না তুলিত, তাহা হইলে বোধ হয়, পাপেই হউক, আর পুণ্যেই হউক, মোক্ষদাকে লইয়াই এ জীবনে এক রকম সুখী হইতে পারিতাম। সে কথা যাক, তাহার পর আমি গ্রামের মধ্যে রচনা করিয়া দিলাম, মোক্ষদার অপহরণটি তোমার দ্বারাই হুইয়াছে।--” কি নৃশংস ! “তুমি মোক্ষদাকে আগে বৈদ্যুনাথে পাঠাইয়া দিয়াছ, সেখানে তাহাকে কোন স্বতন্ত্র বাটীতে রাখিয়া, অপর একখানি বাটী ভাড়া করিয়া মাতাপুত্রে থাকিবে, এইরূপ অভিপ্ৰায়ে তুমি মাতার পীড়া উপলক্ষ্য করিয়া বৈদ্যনাথ গিয়াছ। তার পর কতকগুলা মিথ্যা প্রমাণ ঠিক করিয়া এখানকার সকলেরই নিকটে কথাটি খুব বিশ্বাস্য করিয়া তুলিলাম। নরেন্দ্র আর লীলার মা তোমাকে ভাল রকমে জানিতেন—ৰ্তাহার কথাটা প্ৰথমে অত্যন্ত বিস্ময়ের সহিত শুনিয়াছিলেন বটে, কিন্তু বিশ্বাস করেন নাই । তাহাতে আমার অভিষ্ট সিদ্ধির কোন ব্যাঘাত ঘটিল না । কেন না, লীলার পিতা ইহাতে বিস্ময়ের কিছুই দেখিলেন না, এবং সহজেই বিশ্বাস করিলেন। তাহার পর দহমান হন্তে একটি ক্ষুদ্র যুথিকাকে বৃন্তচু্যত করিলাম। সেইদিন স্বহস্তে একটা অক্ষয় চিত রচনা করিয়া নিজের —শুধু নিজের নাচে —লীলার আর তোমার-এক সঙ্গে তিন জনের হৃদপিণ্ড ছিন্ন করিয়া সেই চিন্তানলে নিক্ষেপ করিলাম।”