পাতা:হত্যাকারী কে? - পাঁচকড়ি দে.pdf/২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যোগেশচন্দ্রের কথা Sw) নেশার ঝোক ছিল। যাই হোক, তুমি একবার চল যোগেশদা, এমন সময়ে তোমার একবার যাওয়া খুবই দরকার, যদি কোন একটা উপায় হয়।” আমি কম্পিত-কণ্ঠে, কম্পিত-হৃদয়ে এবং কম্পিত-কলেবরে ভীতিবিহািবলের ন্যায় জিজ্ঞাসা করিলাম, “কোথায় ? লীলাকে দেখিতে ? দাড়াও-দাড়াও-নরেন্দ্ৰ, আমায় একটু প্ৰকৃতিস্থ হইতে দাও-আমি বুঝিতে পারিতেছি না, আমার বুকের ভিতরে যেন কি হইতেছে।” স্মামার ভাবভঙ্গী দেখিয়া নরেন্দ্রনাথ আমার মনের অবস্থা সম্যক বুঝিতে পারিয়াছিল । আমার কথায় সম্মত হইল ; কিন্তু সে একান্ত অধীরভাবে আমার জন্য অপেক্ষা করিতেছে দেখিয়া আমি আর বড় বিলম্ব করিলাম না-তখনই বাহির হইলাম । নবম পরিচ্ছেদ যথাসময়ে আমরা শশিভূষণের বাটীতে গিয়া উপস্থিত হইলাম। সেখানে উপস্থিত হইয়া যাহা দেখিলাম, এ কাহিনীর মধ্যে একান্ত উল্লেখযোগা হইলেও, তাহা আমি বলিতে ইচ্ছা করি না। সেজন্য আমাকে ক্ষমা করিবেন। এই হত্যা সম্বন্ধে শশিভূষণের বিরুদ্ধে যে সকল প্ৰমাণ সংগৃহীত হইয়াছে, তাহাতে সেই যে দোষী, সে সম্বন্ধে আর কাহারও কিছুমাত্র সন্দেহ নাই। গত রাত্রে উদ্যানমধ্যে আমার সহিত শশিভূষণের যে সকল কথা হইয়াছিল, একজন দাসী তাহ শুনিয়াছে, সে নিজের জোবানবন্দীতে আমাদের মুখনিঃসৃত প্ৰত্যেক কথাটিরই পুনরাবৃত্তি করিয়াছে। প্ৰাতঃকালে লীলার মৃতদেহ বিছানার পাশে পড়িয়া ছিল এবং তাহার বক্ষে একখানি ছুরিকা আমূল প্রোথিত ছিল ; সে ছুরিখানি শশিভূষণের নিজেরই ছুরি। অনেকেই সেই ছুরিখানি তাহার বৈঠকখানা ঘরে অনেকবার দেখিয়াছে । সে রকম ধরণের প্রকাণ্ড