পাতা:হত্যাকারী কে? - পাঁচকড়ি দে.pdf/২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দশম পরিচ্ছেদ নিজের হাজত ঘরে আমাকে উপস্থিত দেখিয়া শশিভূষণ অত্যন্ত আহল্লাদিত হইল ; এবং আমার উপদেশ অগ্ৰাহা করিয়াছে বলিয়া-আরও আমার সহিত যে সমুদায় অন্যায় ব্যবহার করিয়াছে, তাহার উল্লেখ করিয়া, বাবাংবার আমার নিকটে অশ্রুসিংরুদ্ধকণ্ঠে ক্ষমা প্রার্থনা করিতে লাগিল । তাহার পর বলিল, “ভাই যোগেশ, তুমি আমাকে ক্ষমা করিলে , কিন্তু অভাগিনী লীলা কি এমন নরকের কীটকে কখন ক্ষমা করিবে ? আমি আজ আমার পাপের ফল পাইলাম। ধৰ্ম্মের বিচার অব্যাহত-আজি না হউক, দুদিন পরে নিশ্চয়ই সকলকে স্বকৃত পাপপুণ্যের ফলভোগ করিতে হইবে ; কেইষ্ট তাহার হাত এড়াইতে পারে না । আমি লীলার প্রতি যে সকল নিষ্ঠুরাচরণ করিয়াছি, বোপ কবি কোন কঠোর রাক্ষসেও তাহা পারে না। আমি মনুস্য নামের একান্ত অযোগ্য—“আমার ন্যায় মহাপাপীর নাম এ জগৎ হইতে চিরকালের জন্য মুছিয়া যাওয়াই ভাল। ভাই যোগেশ, আজ সকলেই বিশ্বাস করিয়াছে, আমি লীলার হত্যাকারী। তুমিও যে এমন বিশ্বাস কর নাই, তাহাও নহে। জগতের সকলেরই মনে আমার মহাপাপের প্রায়শ্চিত্ত স্বরূপ এই ধারণা, এই বিশ্বাস চিরন্তন অটুট এবং অটল থাকিয়া যাক-বরং তাহাতে আমি সুখী ; কিন্তু তুমি-যোগেশ, তুমি যেন আর সকলের মত তাহা মনে করিয়ো না, এই কথা বলিবার জন্যই আমি তোমার সহিত দেখা করিতে এত উৎসুক হইয়াছিলাম। আমাব সত্য নাই, ধৰ্ম্ম নাই, এমন কিছুই নাই, যাহা সাক্ষী করিয়া স্বীকার করিলে তুমি কিছুমাত্র বিশ্বাস করিতে পার। আমি ধৰ্ম্মবিচূতি, মনুষ্যত্ব-বিবৰ্জিত, শয়তানের মোহমন্ত্রপ্রণোদিত, জগতের অকল্যাণের পূর্ণ প্ৰতিমূৰ্ত্তি—আমার কথায় কে বিশ্বাস করিবে ? ভাই যোগেশ, তুমি ভাই অবিশ্বাস করিয়ো না, তাহা হইলে মরিয়াও আমার সুখ হইবে না-এ