পাতা:হত্যাকারী কে? - পাঁচকড়ি দে.pdf/২৬

? হত্যাকারী কে 9 مS জগতে এমন একজন থাক, সে যেন জানে, আমি একটা মহাপাপী ছিলাম दdछे, किन्नु ठूीश्लु नङ्ग्रे ।' বলিতে বলিতে শশিভূষণের কণ্ঠ কম্পিত এবং বাষ্পরুদ্ধ হইয়া আসিতে লাগিল। সে দুই হাতে মুখ চাপিয়া বালকের ন্যায় কঁদিতে लां१िोव्ल । বলিতে কি, তাহার সেই সকরুণ অবস্থা তখন আমার মৰ্ম্মভেদ ও সহানুভূতি আকর্ষণ করিয়াছিল। অনেক কিরিয়া তাহার পর আমি তাহাকে শান্ত করিয়া জিজ্ঞাসা করিলাম, “শশিভূষণ, এ পৰ্য্যন্ত যাহা ঘটিয়াছে, তুমি অকপটে সব আমাকে বল ; কোন কথা গোপন করিতে চেষ্টামাত্ৰও করিয়ো না-যদি এ দুঃসময়ে আমি তোমার কোন উপকারে আসিতে পারি।” শশিভূষণ বলিল, “আমি প্ৰভাতে উঠিয়া প্ৰথমে দেখিলাম, লীলা রক্তাক্ত হইয়া আমার বিছানার পাশে পড়িয়া রহিয়াছে। ধরিয়া তুলিতে গেলাম - দেখিলাম, দেহে প্ৰাণ নাই । দেখিয়াই আমার বুকের রক্ত স্তম্ভিত হইয়া গেল। বুঝিলাম, লীলা এ পিশাচকে জন্মের মত পরিত্যাগ করিয়া গিয়াছে—বিশ্বব্ৰহ্মাণ্ড খুজিলে আর তাহাকে ফিরিয়া পাইব না।— পাইবার নহে । বলিতে কি, যোগেশ ! প্ৰথমে আমার বোধ হইল, মদের ঝোকে আমিই তাকে রাত্রে হত্যা করিয়াছি। তাহার পর যখন দেখিলাম, আমারই ছুরিখানা লীলার বুকে তখনও আমূল বিদ্ধ রহিয়াছে, তখন আমার সে ভ্রম দূর হইল। আমার এখন বেশ মনে পড়িতেছে, ছুরিখানি আমার বৈঠকখানায় যেখানে থাকিত, সেখানে ছুরিখনি কাল রাত্রে দেখিতে পাই নাই, পরে খুজিয়াও কোথাও পাওয়া গেল না । আমি সে কথা তখনই লীলাকেও বলিয়াছিলাম। সেজন্যই মনে একটু সন্দেহ হইতেছে ; নতুবা এখনও আমার মনে বিশ্বাস, কাণ্ডজ্ঞানহীন আমিই লীলার হত্যাকারী ; কিন্তু সেই ছুরিখানি যোগেশ, আরও ইহার ভিতরে