পাতা:হত্যাকারী কে? - পাঁচকড়ি দে.pdf/৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যোগেশচন্দ্রের কথা 8 ) আমার মত বিচক্ষণ ডিটেকটিভের হাতে যত কেস আসিয়াছে, একটি ছাড়া এমন অত্যাশ্চৰ্য্য কোনটিই নহে । যে বয়স আমার, তাতে ‘বিচক্ষণ|” বিশেষণটিায় আমার কিছু অধিকারও থাকিতে পারে, কি বলেন ? ( হাস্য )। কাল মোক্ষদার সহিত আপনার কথাবাৰ্ত্তায় কেন্সটা একেবারে পরিষ্কার হইয়া গিয়াছে । আর কোন গোল নাই । বলিতে কি মোক্ষদা মেয়েটি ভারি ফিচেল-ভারি চালাক, এমন সে ভাণ করিতে পারে, ঠিক হুবহু । যদি তাকে কোন থিয়েটারে দেওয়া যায়, সে শীঘ্রই একটি বেশ নামজাদা অ্যাকট্রেস হতে পারে।” আমি শ্রুতিমাত্ৰ বিস্মিত হইয়া বলিলাম, “কেন, কাল আপনি বলছিলেন, যে-—” বাধা দিয়া অক্ষয়বাবু বলিলেন, “কি আপদ! কল্যকার কথা আজি কেন ? ব্যস্ত হবেন না— আমি যা বলি, তা মন দিয়া শুনুন । আপনাদের নব্য বয়স, রক্ত গরম-সুতরাং ধৈৰ্য্যটি অত্যন্ত কম । কাল যদি আপনাকে সমুদায় প্রকৃত কথা ভাঙিয়া বলিতাম, তাহা হইলে আপনি হয় তা আমার শ্রম পণ্ড করিয়া ফেলিতেন। মোক্ষদা মেয়েটি ভারি চালাক-যতদূর হইতে হয়। এই বলিয়া তিনি সুখ্যাতিবাদের আবেগে নিজের হস্তে হস্ত নিষ্পীড়ন করিতে লাগিলেন । , আমি ধৈৰ্য্যাচুত হইয়া তাহাকে জিজ্ঞাসা করিলাম, “মোক্ষদা হইতে কি আপনি এ খুন-রহস্যের কোন সুত্ৰ বাহির করিতে পারিয়াছেন ?” অক্ষয়কুমারবাবু বলিলেন, “দেখুন যোগেশবাবু, আপনার কথাটাই ঠিক । এই হত্যাকাণ্ডে শশিভূষণের কিছুমাত্র দোষ নাই। আরও একটা কথা—কি জানেন, হত্যাকারী শশিভূষণকে খুন করিতে গিয়া ভ্ৰমক্রমে লীলাকে খুন করিয়াছে।” আমার মস্তিষ্কের ভিতর দিয়া বিদ্যুতের একটা সুতীব্ৰ শিখা সবেগে সঞ্চালিত হইয়া গেল ; আমি অত্যন্ত চমকিত হইয়া উঠিলাম ।