পাতা:হত্যাকারী কে? - পাঁচকড়ি দে.pdf/৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।



হত্যাকারী কে?

  এমন সময়ে ডাক্তারের পরামর্শে আমার পীড়িত মাতাকে লইয়া আমাকে বৈদ্যনাথে যাইতে হয়। পীড়ার উপশম হওয়া দূরে থাক, বরং উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাইতে লাগিল। মা বঁচিলেন না।

  মা ভিন্ন সংসারে আমার আর কেহ ছিল না। মাতার সহিত সংসারের সমুদায় বন্ধন আমার শিথিল হইয়া গেল—সমগ্র জগৎ শূন্যময় বলিয়া বোধ হইতে লাগিল। একমাত্র লীলা - সে শূন্যতার মধ্যে-দীনতার মধ্যে - আমার সমগ্র হৃদয়ে অভিনব আশার সঞ্চার করিতে লাগিল।

  বৎসরেক পরে দেশে ফিরিয়া শুনিলাম, লীলা নাই - লীলা আমার নাই। - তাহার বিবাহ হইয়া গিয়াছে। - সে তখন অপরের। তাহার চিন্তাও তখন আমার পক্ষে পাপ। এই মর্ম্মভেদী কথা শুনিবার পূৰ্বে আমার মৃত্যু শ্রেয়ঃ ছিল।

  লীলার পিতা এ বিবাহ জোর করিয়া দিয়াছেন, পত্নী-পুত্রের মতামত তাহার নিকটে আদৌ গ্রাহ্য হয় নাই।

  যাহার সহিত লীলার বিবাহ হইয়াছে, তাহার নাম শশিভূষণ। সে আমার অপরিচিত নহে। তাহার সহিত আমার আগে খুব বন্ধুত্ব ছিল। মাথার উপরে শাসন না থাকায়, নিৰ্দয়-প্রকৃতি পিতৃহীন শশিভূষণের চরিত্র যৌবন-সমাগমে যখন একান্ত উচ্ছশৃঙ্খল হইয়া উঠিল, আমি তখন হইতে আর তাহার সহিত মিশিতাম না; হঠাৎ কখনও যদি কোন দিন পথে তাহার সহিত দেখা-সাক্ষাৎ ঘটিত, পরস্পর কুশল-প্রশ্নাদি ছাড়া বন্ধুত্বসূচক কোন বাক্যালাপ ছিল না।

  শশিভূষণের বাৎসরিক হাজার-বারশত টাকার একটা আয় ছিল; তাহাতেই এবং প্রতি মাসে কিছু কিছু দেনা করিয়া তাহার সংসার, বাবুয়ানা, বেশ্যা এবং মদ বেশ চলিত। ঘোরতর মদ্যপ বেশ্যানুরক্ত শশিভূষণ এখন লীলার স্বামী।

  ক্রমে লোকমুখে বিশেষতঃ লীলার ভাই নরেন্দ্রের মুখে শুনিলাম, লীলার