পাতা:হত্যা রহস্য - পাঁচকড়ি দে.pdf/১০৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

レ-8 ठूऊा-झङ्ग्र्ण গঙ্গার মুখ লাল হইয়া গেল-সে ত্রুকুটকুটিল মুখে গ্ৰীবা বাকাইয়া তীক্ষকণ্ঠে কহিল, “হা, আমি পত্ৰ পাইয়াছি।” “আমি সেই পত্ৰ দেখিতে চাই।” “সে পত্র আমি তখনই ছিড়িয়া ফেলিয়া দিয়াছি।” “কোথায় ফেলিয়াছেন-চলুন দেখি।” “সে পত্র আমি পুড়াইয়া ফেলিয়াছি।” “দেখুন-গোল করিবেন না। সে পত্র আমি দেখিতে চাইদেখিবই ।” “সে পত্র আমি কিছুতেই দেখাইব না।” “বুঝিলাম, খুনের ব্যাপার কিছু তাহাতে আছে।” “আপনি কি মনে করেন, আমি খুন করিয়াছি ?” “অতদূৱ এখনও মনে করি নাই- তবে আপনি জানেন, কে খুন। করিয়াছে।” “মিথ্যা কথা ।” এতক্ষণ যমুনা নতনেত্রে নীরবে বসিয়াছিল-সহসা কোথা হইতে তাহার দেহে কি অমানুষিকী শক্তির সঞ্চার হইল ; সে সগৰ্বে মস্তক তুলিল। অতি দৃঢ়ভাবে বলিল, “না-মিথ্যাকথা নয়।” অক্ষয়কুমার বিস্মিত হইয়া তাহার মুখের দিকে চাহিলেন। চাহিয়া গঙ্গার মুখের দিকে চাহিলেন। মুখ দেখিয়া বুঝিলেন, যমুনার কথায় গঙ্গা প্ৰথমে আশ্চৰ্য্যান্বিত হইল ; পরীক্ষণে তাহার বিশালায়ত নেত্রদ্বয় একবার দীপ্তিশীল উল্কাপিণ্ডের ন্যায় জলিয়া উঠিল ; এবং ক্ৰোধে মুখখানা আরক্ত হইয়া উঠিল-সৰ্ব্বশরীর কঁাপিতে লাগিল। গঙ্গা ওষ্ঠে ওষ্ঠ পেষিত করিয়া ক্ৰোধ দমন করিবার চেষ্টা করিল। এবং যমুনার মাথাটা একদিকে ঠেলিয়া দিয়া কহিল, “যমুনা, তোর মাথা খারাপ হইয়া গিয়াছে।”