পাতা:হত্যা রহস্য - পাঁচকড়ি দে.pdf/১১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হত্যা-রহস্য କଳ> আর একটি দাসী রঙ্গিয়া । শেষের তিনটি যুবতী। আরও দেখিলাম, হুজুরীমলের এই খুনের মামলায় আরও চারিটি লোককে আনা যায়, একটি ললিতা প্ৰসাদ, একটি উমিচান্দ, একটি গুরুগোবিন্দ সিং, আর একটি যমুনাদাস।” নগেন্দ্ৰনাথ কি বলিতে যাইতেছিলেন, কিন্তু নিরস্ত হইলেন, অক্ষয়কুমার বলিলেন, “এই ব্যাপারের মধ্যে তাহা হইলে পাইলাম, চারিটি স্ত্রীলোক-চারিটি পুরুষ—আর পাইলাম, তিনটি জিনিষ।” নগেন্দ্ৰনাথ এবার আর নীরবে থাকিতে পারিলেন না-বলিয়া ফেলিলেন, “কি জিনিষ ?” অক্ষয়কুমার দ্রুকুটি করিলেন, তাহার কথায় কোন উত্তর না দিয়া বলিলেন, “আর পাইলাম, তিনটি জিনিষ, ; প্রথমতঃ সিন্দুর মাখা শিবদুটাে । দ্বিতীয়তঃ টাকা—দশ হাজার টাকার দশখান নোট । তৃতীয়তঃ, ভালবাসা, দ্বেষ, ঈৰ্ষা, প্ৰতিহিংসা-ব্যস।” নগেন্দ্ৰনাথ বলিলেন, “সিঁদুরমাখা শিবই এ খুনের কারণ স্পষ্ট দেখাইয়া দিতেছে। পঞ্জাবের সেই সম্প্রদায়ের লোক যে এ খুন করিয়াছে, তাহাতে কোন সন্দেহ নাই ।” অক্ষয়কুমার এবার উঠিয়া ভাল হইয়া বলিলেন। পরে নগেন্দ্রনাথের দিকে ভ্ৰকুট করিয়া চাহিয়া বলিলেন, “কেন ?” নগেন্দ্ৰনাথ বলিলেন, “আমরা জানিতে পারিয়াছি যে, পাঞ্জাবে এই রকম একটা সম্প্রদায় আছে।” “उछाब्न ।” “সেই সম্প্রদায়ের চিহ্ন এই সিঁদুরমাখা শিব ।” “খুব ভাল।” “কেহ যদি এই সম্প্রদায়ের বিরাগভাজন হয়, তাহা হইলে তাহাকে