পাতা:হত্যা রহস্য - পাঁচকড়ি দে.pdf/১১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

をやT-@ ನಿ “এ খুব সম্ভব হইতে পারে বটে ; কিন্তু তাঁহা হইলে আপনার গাড়োয়ানের কথা ঠিক হয় কিরূপে ? সে একজন স্ত্রীলোককে আর একজন পুরুষকে গাড়ীতে লইয়াছিল।” “এইজন্য বোধ হয়, হুজুরীমলের স্ত্রী একাকী আসে নাই-সে। একজন পুরুষকে সঙ্গে করিয়া লইয়া যায়। যেরূপ জোরে ছোরা মারিয়াছে, তাহাতে কোন স্ত্রীলোকের কাজ বলিয়া বোধ হয় না ; কোন পুরুষ ইহার ভিতরে আছে।” “এ পুরুষ কে মনে করেন ?” “তাহারই সন্ধান করিতেছি ।” “এ লোক গুরুগোবিন্দ সিংও হইতে পারে। কেন না, গুরুগোবিন্দ সিং পাঞ্জাবের লোক, সে নিজে স্বীকার করিয়াছে যে, সে এই সম্প্রদায়ের লোক। সম্ভবতঃ এক সম্প্রদায়ের লোক বলিয়া হুজুরীমলের স্ত্রী নিজের স্বামীর দুর্ব্যবহারের কথা ইহাকে জানাইয়াছিল ; তাহাতে খুব সম্ভব, গুরুগোবিন্দ সিং তাঙ্গার সহিত রাণীর গলিতে যায়, তাহার পর সে-ই খুন করে ।” “সম্ভব, কিন্তু টাকা চুরী করে কে ?” “টাকার কথা সবই মিথ্যা—সন্দেহ দূর করিবার একটা ফন্দী।” “উমিচাঁদ নিজের হাতে টাকা সিন্দুকে রাখিয়াছিল।” “উমিচাঁদকে ইহার হাত করিয়াছে।” “টাকা না লইয়াই কি হুজুরীমল গঙ্গাকে লইয়া পলাইবার চেষ্টা করিয়াছিল ? এ কোন কথাই স্থির হইতেছে না। এই মোকদম লইয়া খুব বেশী রকমে মাথা ঘামাইতে হইবে, দেখিতেছি।” বিরক্তভাবে অক্ষয়কুমার উঠিলেন।