পাতা:হত্যা রহস্য - পাঁচকড়ি দে.pdf/১৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

YRo श्डyl-द्धश्g যমুনার মুখে নিজের প্রশংসা শুনিয়া নগেন্দ্রনাথ মনে মনে বড় সস্তুষ্ট হইলেন। বলিলেন, “তার পর তিনি কি করিলেন ?” যমুনা বলিল, “এইজন্য তিনি গোপনে টাকা রাত্রি মধ্যে শান্তপ্ৰসাদকে পৌছাইয়া দেওয়া স্থির করিলেন।” “গুরুগোবিন্দ টাকা চাহিলে কি করিতেন ?” “তিনি সেইদিনই আগ্ৰায় যাইতেছিলেন। ভাবিয়াছিলেন, গুরুগোবিন্দ শীঘ্ৰ টাকা চাহিবে না, চাহিলেও ‘টাকা চুরী গিয়াছে ভাবিবে, তাহাকে সন্দেহ করিবে না। এইজন্য তিনি টাকা লইয়া উমিচাঁদকে গদীর সিন্দুকে রাখিতে দেন।” “তাহা ত আমরা জানি । তিনি উমিচান্দকে টাকা রাখিতে দিলে সে ললিতাপ্ৰসাদের সম্মুখে সিন্দুকে টাকা বন্ধ করিয়া রাখে। পরে তিনি আর গদীতে যান নাই ; তিনি টাকা পাইলেন, কোথা হইতে ?” “তাহাই বলিতেছি, মেসো মহাশয় এই সকল কথা আমাকে বলিয়া আমার দুই হাত ধরিয়া বলিলেন, “যমুনা, কেবল তুই আমাকে রক্ষা করিতে পারিস, নতুবা সম্প্রদায়ের হাত হইতে আমার রক্ষার উপায় নাই।” আমি প্ৰাণ দিয়া ও তিনি যাহা বলিবেন তাহা করিব, স্বীকার করিলাম। তখন তিনি বলিলেন, “তুই সন্ধ্যার পর গদীতে যাইবি—আমার রেলের টিকিট আমি সেখানে ফেলিয়া আসিব । সিন্দুকের ঘরে উমিচাঁদ ছাড়া আর কেহ থাকে না, তাহাকে কোন রকমে। অন্যত্ৰ পঠাইয়া সিন্দুক হইতে টাকা বাহির করিয়া আনিয়া আমায় দিবি ।” “আপনি সিন্দুক খুলিলেন, কিরূপে ?” “সিন্দুকের একটা চাবী উমিচাঁদের কাছে-আর একটা মেসো মহাশয়ের কাছে থাকিত, তিনি সেই চাবীটা আমাকে দিলেন।” “আপনি এ কাজ করিতে স্বীকার করিলেন ?”