পাতা:হত্যা রহস্য - পাঁচকড়ি দে.pdf/১৫০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ईडjl-ब्रहेन b\9) দেখিয়া রঙ্গিয়া হতজ্ঞান হইল, তখন তাহাকে সঙ্গে লইয়া উমিচাঁদ গাড়ীতে আসিয়া উঠিল। রঙ্গিয়া কলের পুতুলের মত তাহার সঙ্গে সঙ্গে চলিল। এরূপ অবস্থায় সে কেন-অনেকেই এইরূপ করিত। তখন উমিচাদের খুন চাপিয়াছে, বুকের ভিতর ঈর্ষার আগুন জলিতেছে, সে যাহাকে এত্তদিন প্রাণ দিয়া ভালবাসিয়া আসিতেছে, তাহার এই কাজ, এরূপ অবিশ্বাসিনীর দণ্ডই-মৃত্যু। ভয়ে রঙ্গিয়ার কণ্ঠরোধ হইয়া গিয়াছিল; সে সত্য ব্যাপারের কিছুই উমিচাঁদকে বলিতে পারিল না। উমিচাঁদ তাহাকে গঙ্গার ধারে আনিয়া সেখানে কোন লোক নাই দেখিয়া নানা গালি দিয়া তাহার বুকে ছোরা বসাইল। নগেন্দ্রনাথ চিন্তিতভাবে বলিলেন, “ইহা কি সম্ভব ?” “সম্ভব নহে-ঠিক। তাহার পর লাস গঙ্গার জলে ফেলিয়া দিতে ছিল, এরূপ সময়ে কোন লোকের পায়ের শব্দ শুনিয়া পলাইয়াছিল। ইহা ব্যতীত এ খুনের আর দ্বিতীয় কারণ নাই।” “এ সকলই খুব সম্ভব বলিয়া জানিলাম, কিন্তু ইহার প্রমাণ নাই, যে প্ৰমাণ দিবে, সে-ও নাই। উমিচাঁদের সঙ্গে রঙ্গিয়ার ভালবাসা ছিল বলিয়াই যে, সে তাকে ও হুজুরীমলকে খুন করিবে এমন কি কথা! এ সমস্তই অনুমান ব্যতীত আর কিছুই নয়। তাহার পর-” “তাহার পর আর কি ?” “তাহার পর আপনি সিঁদুরমাখা শিবের কথা একেবাবেরই ভুলিয়া যাইতেছেন। উমিচান্দ পাঞ্জাবের সম্প্রদায়ের কেহ নয়, সে খুন করিয়া সিঁদুরমাখা শিব লাসের নিকটে রাখিবে কেন ? আরও একটা কথা হই, তেছে, সে টাকা লইয়া আবার ফেরৎই বা দিবে কেন।” অক্ষয়কুমার কোন উত্তর না দিয়া সত্বর উঠিয়া কক্ষমধ্যে চিন্তিতভাৰে দ্রুতবেগে পরিক্রমণ করিতে লাগিলেন।