পাতা:হত্যা রহস্য - পাঁচকড়ি দে.pdf/১৫১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৃতীয় পরিচ্ছেদ অক্ষয়কুমার বহুক্ষণ এইরূপভাবে পরিক্রমণ করিতে লাগিলেন। ক্ষণপরে সহসা সেই চেয়ারখানা। টানিয়া বসিয়া বলিলেন, “ভাবিয়া দেখিলাম, যাহা বলিলেন, তাহাও ঠিক-প্ৰমাণ সংগ্ৰহ করা কঠিন-আর সিঁদুরমাখা শিবের কথাটাও একটা কথা বটে—এই পাথুরে শিবই আমাকে পাগল করিবে দেখিতেছি। তবে ইহাও ঠিক, উমিচাঁদ এই খুনের বিষয় জানে, নতুবা সে শিব দেখিয়া অজ্ঞান হইবে কেন ?” “ইহার কারণ ত সে বলিয়াছে।” “যাহা বলিয়াছে, মিথ্যা কথা ; তবে তাহাকে এখানে ডাকিয়া পাঠাই, য়াছি, আজ আসিলে দেখা যাক, সে কি বলে। তাহার পেটের কথা এখনই যদি বাহির না করি, তবে আমার নাম অক্ষয়ই নয় ।” “কখন সে আসিবে ?” অক্ষয়কুমার পকেট হইতে ঘড়ী বাহির করিয়া বলিলেন, “এখনই আসিবে-ঐ বুঝি আসিয়াছে।” সত্যসত্যই উমিচান্দ আসিয়াছে। ভূত্য আসিয়া সংবাদ দিল। অক্ষয়কুমার তাহাকে সেই গৃহে আসিতে আজ্ঞা করিলেন । আমরা পুর্বেই বলিয়াছি, উমিচাদের সাহসটা বড় কম, তাহাকে দেখিলেই বোধ হইত, যেন সতত সশঙ্ক, কি যেন একটা পাপ সে করি।-- স্নাছে, কি যেন লুকাইবার চেষ্টা করিতেছে, সকলের সহিত সে ভাল করিয়া কথা কহিতে পারিত না । ক্ষণপরে উমিচাঁদ ধীরে ধীরে সশঙ্কভাবে কক্ষৰ