পাতা:হত্যা রহস্য - পাঁচকড়ি দে.pdf/১৬০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হত্যা-রহস্য S8S “কে খুন করিয়াছে, শুনিলে ?” “সে সেই কথা বলিতে যাইতেছিল, এমন সময়ে কোথা হইতে একটা লোক তাহার উপর আসিয়া পড়িল। তাহার হাতে ছোরা ঝাক ঝাৰু করিয়া উঠিল। রঙ্গিয়া ভয়ে পড়িয়া গেল । আমিও প্রাণভয়ে ছুটিলাম।” “সে তোমার পিছনে এসেছিল ?” “বলিতে পারি না। আমি একবার ফিরিয়া দেখিয়াছিলাম। দেখিলাম, লোকটা রঙ্গিয়ার নিকট বসিয়া তাহার কাপড় অনুসন্ধান করিতেছেনিশ্চয়ই নোট খুজিতেছিল।” “তাহার পর সে তোমার পিছনে আসিয়াছিল ?” “বলিতে পারি না, আমি ছুটিয়া একটা গলির ভিতরে যাই।” “সে লোককে এখন দেখিলে চিনিতে পার ?” “তাহাকে ভাল করিয়া দেখি নাই ; তবে তাহার লম্বা কাল দাড়ী ছিল, হয় তা ছদ্মবেশে ছিল, ঠিক বলিতে পারি না।” “গাড়োয়ানও বলিয়াছিল, লোকটার লম্বা কাল দাড়ী ছিল। রঙ্গিয়া তাহাকে নিশ্চয় চিনিত, নতুবা সে তাহার সঙ্গে গাড়ীতে উঠিবে কেন ?” “সে আমাকে বলিতে যাইতেছিল, কিন্তু বলিবার সময় পায় নাই।” অক্ষয়কুমার এক দৃষ্টি উমিচাঁদের দিকে চাহিয়া রহিলেন। ক্ষণপারে বলিলেন, “বলি, রঙ্গিয়ার আর কেহ ভালবাসার লোক ছিল কি ?” উমিচাঁদ ব্যগ্ৰভাবে বলিয়া উঠিল, “না।--না-না-” অক্ষয়কুমার বলিলেন, “না থাকিলেই ভাল। তার পরে কি বল।” উমিচাঁদ বলিল, “আর কিছুই বলিবার নাই-তবে ইহাও আমি বুলিতে চাই যে, গুরুগোবিন্দ সিংহকে আমি টাকা ফেরৎ দিয়াছি।” উভয়েই বিস্মিতভাবে বলিয়া উঠিলেন, “তুমি ?” উমিচাঁদ ধীরে ধীরে বলিল, “হঁ।”