পাতা:হত্যা রহস্য - পাঁচকড়ি দে.pdf/১৭২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

श्ऊyl-द्धश्न S6) তাহারই চাতুরী, আজ যে এই রাত্রে বীডন গার্ডেনের ব্যাপার ঘটাইয়াছে, ইহাও তাঁহারই সৃষ্টি। অক্ষয়কুমার সুদক্ষ ডিটেকটিভ হইতে পারেন, কিন্তু তিনি এ পৰ্য্যন্ত যে যে বিষয়ে স্থির নিশ্চিত হইয়াছেন, তাহার একটাও সত্য বলিয়া সপ্রমাণ হয় নাই। সম্ভবতঃ আজও সেইরূপ হইবে। এতদিন কাটিয়া গেল, কই তিনি এ খুনের কিছুই করিয়া উঠিতে পারিলেন R | সমস্ত দিবস নগেন্দ্রনাথ গৃহে বসিয়া, কাজ-কৰ্ম্ম ছাড়িয়া এই খুন সম্বন্ধেই আলোচনা করিলেন ; কিন্তু কোন ক্রমে একটা স্থির-সিদ্ধান্ডে আসিতে পারিলেন না। বলিলেন, “আজি ইহার একটা শেষ যাহা হয় কিছু হইলে আমি রক্ষা পাই। ডিটেকটিভগিরির সাধ আমার একেবারে মিটিয়া গিয়াছে। ইহাপেক্ষা মনে মনে গড়িয়া লইয়া কল্পনার সাহায্যে ডিটেকটিভ উপন্যাস লেখাই সহস্ৰগুণে ভাল। প্ৰকৃত ঘটনায় অনেক বিড়ম্বনা ।” সন্ধ্যার একটু পরেই আহারাদি শেষ করিয়া নগেন্দ্রনাথ অক্ষয়কুমারের সহিত সাক্ষাৎ করিতে চলিলেন। তিনি উপস্থিত হইলে অক্ষয়কুমার আহারাদি করিতে গমন করিলেন । রাত্রি দশটার সময়ে তাহারা উভয়ে বীডন-গার্ডেনের দিকে চলিলেন। অক্ষয়কুমার দুইজন বলবান কনেষ্টবল সঙ্গে লইলেন। তাহারা পুলিসের পোষাক না পরিয়া ভদ্রলোকের বেশ ধারণ করিয়া চলিলেন । অক্ষয়কুমার পকেটে একটা পিস্তল রাখিয়া বলিলেন, “সাবধানে বিনাশ নাই--- অপঘাত মৃত্যুটা ভাল নয়।”