পাতা:হত্যা রহস্য - পাঁচকড়ি দে.pdf/১৮৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SV8 ङ्ङा-द्वाङ्मा গঙ্গার মা-বাপ ছিল না। হুজুরীমলের শ্বশুর তাহাকে আশ্রয় দিয়াছিলেন। তাহার স্বভাব যে কিরূপ তাহা তিনি জানিতেন না। : যমুনাদাস পঞ্জাবে থাকিতে সিঁদুরমাখা শিবলিঙ্গের সম্প্রদায়ের কথা জানিতে পারে ; দিন কয়েকের জন্য তাহদের দলে মিশিয়া পড়ে ; তাহদের ঠকাইয়াও অনেক টাকা লইয়াছিল। এই সম্প্রদায়ের লোক যে খুন করে, এ সর্বৈব মিথ্যা-তাহারা একরূপ তান্ত্রিক প্রক্রিয়া গোপনে করিত এই মাত্র । এই সম্প্রদায়ে প্ৰবেশ করিয়াই এ কয়েকটা শিবলিঙ্গ সংগ্ৰহ করে। লোককে ভয় দেখাইয়া টাকা আদায়ের সুবিধা হয় দেখিয়া যমুনাদাসই প্ৰকাশ করিয়া দেয় যে, এই সম্প্রদায় যাহার উপর ক্রুদ্ধ হয়, তাহাকে গোপনে খুন করে। সে নানা কৌশলে অনেকের মনে বিশ্বাসও জন্মাইয়াছিল ; পরে সিঁদুরমাখা শিবের ভয় দেখাইয়া অনেকের নিকটেই টাকা আদায় করিয়াছিল । এইরূপ নানা জুয়াচুরি করিয়া সে চালাইতেছিল। যখন গঙ্গা হুজুরীমলের স্ত্রীর নিকট যমুনার সঙ্গে আসিল, তখন যমুনাদাসও কলিকাতায় আসিল। পাঁচ-সাত বৎসর সে এ দেশে ছিল না, সুতরাং সকলেই তাহাকে এক রকম ভুলিয়া গিয়াছিল। তাহার আর কোন ভয় করিবার কারণ ছিল না । এখানে আসিয়াও সে নিজের ব্যবসায় ভূলিল না। গঙ্গার সাহায্যে বৃদ্ধ হুজুরীমলকে ভুলাইয়া তাহার নিকট হইতৈ মধ্যে মধ্যে টাকা সংগ্ৰহ করিত। গঙ্গা ললিতা প্ৰসাদের মাথা খাইয়াও তাহার সর্বনাশ করিতেছিল। তাহার নিকটেও অনেক টাকা আদায় করিতেছিল। এইরূপে উভয়ে খুব জোরে ব্যবসা চালাইতেছিল । এইরূপ সময়ে হুজুরীমল সৰ্ব্বস্বান্ত হইয়া কি করিবে, তাহাই ভাবিতেছিল। হঠাৎ গুরুগোবিন্দ সিং আসিয়া তাহার নিকটে দশ হাজার টাকা