পাতা:হত্যা রহস্য - পাঁচকড়ি দে.pdf/১৮৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Seዓ e श्ऊyl-झश्नy কথা কহিবার উপায় নাই। সে বুঝিয়াছিল যে, যমুনাদাস তাহাকে সন্দেহ করিয়াছে, সুতরাং এখন ইতস্ততঃ করিলে তাহার সন্দেহ আরও বাড়িবে। যমুনাদাসকে বিশ্বাস নাই-সে তাহাকে অনায়াসে খুন করিতেও পারে। সে কেবলমাত্র বলিল, “বলুন, কি করিতে হইবে।” যমুনাদাস বলিল, “আমি মনে করিয়াছি, আমি গঙ্গার কাপড় পরিয়া মেয়ে মানুষ সাজিয়া যাইব-তোমাকে পুরুষ বেশে লইয়া যাইব ।” এই বলিয়া যমুনাদাস এক লম্বা কাল দাড়ী বাহির করিল। বলিল, “সাবধানে মারা নাই ; যদি কোন গোলযোগ হয়, তাহা হইলে পুলিসেও আমাদের ধরিতে পরিবে না—তুমি এই দাড়ী পরিয়া পুরুষ সাজিলে আর কেহ তোমাকে সন্দেহ করিতে পরিবে না । আমিও মেয়ে মানুষ সাজিলে পরে আমার উপরও কাহারও সন্দেহ হইবে না ।” 弘 রঙ্গিয়া যদিও এ সকল কিছুই পছন্দ করিতেছিল না ; কিন্তু কি করে, উপায় নাই, সে অসন্মত হইলে যমুনাদাস তাহার উপর অত্যাচার করিবেযমুনাদাস না পারে, এমন কাজ নাই। সে ধীরে ধীরে বলিল, “আপনি যাহা বলিবেন, তাহাই করিব।” যমুনাদাস হাসিয়া বলিল, “বেশ, ভাল কথা, একেই বলে লক্ষ্মী মেয়ে। প্ৰথমে তোমায় সাজাইয়া দিই।” যমুনাদাস রঙ্গিয়াকে পুরুষবেশে সাজাইতে আরম্ভ করিল। তৎপরে তাহার মুখে সেই লম্বা কাল দাড়ী লাগাইয়া দিল। সে বেশে কাহারই সাধ্য ছিল না যে, রঙ্গিয়াকে চিনে ? - তাহাকে সাজান শেষ হইলে যমুনাদাস গঙ্গার কাপড় পরিয়া স্ত্রীবেশ ধারণ করিল। তাহার গোপদাড়ী ছিল না, ছদ্মবেশেও যমুনাদাস সিদ্ধহস্ত ছিল—কয়েক মুহুর্তের মধ্যেই একটী যুবতী স্ত্রীলোকে পরিণত ठूछ्रेल ।