পাতা:হত্যা রহস্য - পাঁচকড়ি দে.pdf/১৯২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

C夺门g对外°C可帝 দূর হইতে রঙ্গিয়া সেই ভয়াবহ দৃশ্য দেখিল। তাহার কণ্ঠরোধ হইল, এবং সোিভয়ে অত্যন্ত কঁাপিতে লাগিল। মুহুৰ্ত্ত মধ্যে যমুনাদাস তাহার নিকটে আসিয়া হঁপাইতে হাপাইতে বলিল, “আয়”” রঙ্গিয়া দেখিল, অন্ধকারে তাহার চক্ষু মাক্ষত্রের ন্যায় জ্বলিতেছে, তাহার হস্ত রক্তে রঞ্জিত, সে অৰ্দ্ধস্কুটস্বরে বলিল, “কি করিলে ?” রুষ্ট হইয়া গৰ্জিয়া যমুনাদাস বলিল, “আয়।” তবুও রঙ্গিয়া সেখান হইতে নড়ে না দেখিয়া যমুনাদাস তাহার হাত ঘরিয়া টানিয়া লইয়া চলিল। এক স্থানে একখানা ভাড়াটিয়া গাড়ী দাড়াইয়াছিল। উভয়ে সেই গাড়ীতে আসিয়া উঠিয়া কোচম্যানকে হাবড়া ষ্টেশনে যাইতে বলিল । গাড়ী চলিল । তখন যমুনাদাস রঙ্গিয়ার দাড়ী খুলিয়া লইয়া নিজে পরিল। রঙ্গিয়াকে, পরিহিত কোণা-ছোড়া সাড়ীখানা ছাড়িয়া দিল।. বলিল, “পর।” রঙ্গিয়া নীরবে পরিল। ভয়ে রঙ্গিয়ার প্রাণ উড়িয়া গিয়াছিল ; সে ভয়ে একটা কথাও মুখ ফুটিয়া বলিতে সাহস করিল না। যমুনাদাস রঙ্গিয়ার কাণের কাছে মুখ লইয়া শাসাইয়া কহিল, “যদি এ কথা কাহারও নিকট প্রকাশ কর, তবে তোমারও দশা হুজুরীমলের মত করিব।” এই বলিয়া যমুনাদাস সেই রক্তাক্ত ছোরা তাহার বুকের নিকট ধরিল। রঙ্গিয়া ভয়ে চক্ষু মুদিত করিল-তাহার সংজ্ঞা বিলুপ্ত হইল।