পাতা:হত্যা রহস্য - পাঁচকড়ি দে.pdf/১৯৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

እግ8 श्ऊyl-झश्न7 হাবড়ায় আসিয়া যমুনাদাস কোচম্যানকে ভাড়া চুকাইয়া দিয়া রঙ্গিয়াকে বলিল, “যা, এখনই চন্দননগরে চলে যা । গঙ্গা জিজ্ঞাসা করিলে বলিস, হুজুরীমল আসে নাই। অন্য কথা সব আমি নিজে গিয়া বলিব ।” এই বলিয়া যমুনাদাস মুহূৰ্ত্ত মধ্যে তথা হইতে অন্তৰ্হিত হইল। রঙ্গিয়া মুহুর্তের জন্য কিংকৰ্ত্তব্যবিমূঢ় হইয়া দাড়াইয়া রহিল। যমুনাদাস চলিয়া যাওয়ায় তাহার হৃদয়ে সাহস দেখা দিল । অঞ্চল ভারি বোধ হওয়াতে হাত দিয়া দেখিল, তাহাতে কি বাধা আছে। সে খুলিয়া দেখিল, এক তাড়া নোট। সে তখনই বুঝিল, কাপড় বদলাইবার সময়ে যমুনাদাস তাড়াতাড়িতে নোট ভুলিয়া রাখিয়া গিয়াছে। সে তীরবেগে কলিকাতার দিকে ছুটিল। সৌভাগ্যের বিষয় তখন পথে লোক ছিল না, নতুবা তাহাকে পাগল বলিয়া ধরিত। গঙ্গার ধারে উমিচাঁদ তাহার জন্য অপেক্ষা করিবে, এইরূপ কথা ছিল। সে হিতাহিত জ্ঞানশূন্য হইয়া সেইদিকে চলিল। তাহাকে ছুটিয়া আসিতে দেখিয়া উমিচাঁদ সত্বর পদে তাহার দিকে অগ্রসর হইল। সে তাহার হাতে নোটের তাড়া দিয়া বলিল, “সৰ্ব্বনাশ হয়েছে-‘হুজুরীমল খুন!” : সহসা কে আসিয়া রঙ্গিয়াকে আক্রমণ করিল। রঙ্গিয়া পড়িয়া গেল-লোকটাও সেই সঙ্গে সঙ্গে পড়িয়া গেল। উমিচাঁদ দেখিল, এক শাণিত ছোরা শূন্যে উত্থিত হইল। সে আর কিছু দেখিল নাদেখিতে সাহসী হইল না, প্রাণভয়ে ছুটিয়া মুহূৰ্ত্ত মধ্যে দৃষ্টির বহির্ভূত হইয়া গেল । যমুনাদাস কিছুদূর গিয়াই নিজের ভ্রম বুঝিতে পারিল, সে নোটের তাড়া কাপড়ে বাধিয়াছিল। কাপড় যখন রঙ্গিয়াকে পরিবার