পাতা:হত্যা রহস্য - পাঁচকড়ি দে.pdf/১৯৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

७gl-द्धश्नJ Sዓdr জন্য দিয়াছিল, তখন তাড়াতাড়িতে সে নোট খুলিয়া লইতে ভুলিয়া গিয়াछिव्य । রঙ্গিয়াকে ষ্টেশন ছাড়িয়া আসিবামাত্র তাহার নোটের কথা মনে পড়িল। তখন সে উন্মত্তের ন্যায় রঙ্গিয়ার অনুসন্ধানে ছুটিল। যেখানে সে রঙ্গিয়াকে ছাড়িয়া আসিয়াছিল, সেখানে আসিয়া দেখিল, রঙ্গিয়া নাই। সে তাহার জন্য চারিদিকে পাগলের ন্যায় ছুটিল। সহসা সে দেখিল, রঙ্গিয়া দূরে ছুটিয়া যাইতেছে-দেখিয়াই ছুটিল । রঙ্গিয়া উমিচাদের সহিত দেখা করিতে-না-করিতে যমুনাদাস আসিয়া তাহার উপর পড়িল । যমুনাদাস এখন উন্মত্ত—হিতাহিত বিবেচনাশূন্য। সে উমিচান্দকে দেখিয়া ভাবিল, রঙ্গিয় তাহা হইলে এই লোকটাকে হুজুরীমলের খুনের কথাই বলিতেছে—সে রঙ্গিয়ার পৃষ্ঠে আমূল ছোরা বসাইল। ছোরা বক্ষঃস্থল ভেদ করিয়া বাহির হইয়া পড়িল । উমিচান্দ একবার অব্যক্ত চীৎকার করিয়া সশঙ্কভাবে দশ হাত তফাতে হটিয়া গেল, এবং তখনই ছুটিয়া পলাইল। যমুনাদাস দ্রুত হস্তে রঙ্গিয়ার ভুলুষ্ঠিত দেহ অনুসন্ধান করিয়া নোট না পাইয়া উমিচাদের পশ্চাতে ছুটিতেছিল, কিন্তু কি ভাবিয়া দাড়াইল । রঙ্গিয়ার দেহ জলে ভাসাইয়া দিবার জন্য টানিয়া লইয়া চলিল । এমন সময়ে দূরে পদশব্দ শুনিয়া রঙ্গিয়াকে সেইখানে ফেলিয়া ছুটিয়া পলাইয়া গেল । উমিচাঁদের সৌভাগ্য-যমুনাদাস তাহাকে চিনিতে পারে নাই। আরও সৌভাগ্য যে, সে তাহার অনুসরণ করিতে পারিল না ।