পাতা:হত্যা রহস্য - পাঁচকড়ি দে.pdf/৪৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\92 ত্যা-রহস্য যুবকের মুখ শুকাইয়া গেল। যুবক কম্পিতম্বরে কহিলেন, “ডিটেকটিভ-ডিটেকটিভ-ডিটেকটিভ-এখানে কেন ?” এই সময়ে চারিদিক তহঁতে অনেক লোক আসিয়া সেখানে সমবেত হইল। সকলেই উদগ্রীব হইয়া ব্যাপার কি হইয়াছে, শুনিবার জন্য ব্যগ্র হইল । লোকের জনতা দেখিয়া অক্ষয়কুমার যুবককে বলিলেন, “আপনার সঙ্গে কথা আছে,-আপনি অন্য ঘরে চলুন।” কম্পিতীদেহে বিশুদ্ধমুখে যুবক উঠিলেন। অক্ষয়কুমার ও নগেন্দ্ৰনাথকে পাশ্বের এক গৃহে লইয়া গেলেন। অন্যান্য সকলকে তথায় আসিতে নিষেধ করিলেন । অক্ষয়কুমার তঁহার মুখের দিকে কিয়ৎক্ষণ স্থিরদৃষ্টিতে চাহিয়া রহিলেন। তৎপরে বলিলেন, “আপনার নাম কি ?” যুবক শুষ্ককণ্ঠে কম্পিতস্বরে বলিলেন, “আমার-আমার-আমার नाभ-कालिडां9ना ।” ললিতা প্ৰসাদ প্ৰথমে হুজুরীমলের হত্যা সংবাদ পাইয়া যেরূপ বিচলিত হইয়া উঠিয়াছিলেন, এখন আর তাহার সে ভাব নাই । আত্মসংযম করিয়াছেন। বলিলেন, “কে তঁহাকে খুন করিল ? সে কি ধরা পড়িয়াছে ?” অক্ষয়কুমার বলিলেন, “না, তবে একজন স্ত্রীলোক তঁহাকে খুন कदिम्नाgछ ।” ললিতা প্ৰসাদ চক্ষু বিশ্বফারিত করিয়া বলিলেন, “স্ত্রীলোক-কোন স্ত্রীলোক ? অসম্ভব,-আমি মনে-” তিনি কি বলিতে যাইতেছিলেন, কিন্তু আত্মসংযম করিলেন। বলিলেন, “সেই স্ত্রীলোক ধরা পড়িয়াছে কি ?” অক্ষয়কুমার বলিলেন, “না-তাহাকেও কে খুন করিয়াছে।”