পাতা:হত্যা রহস্য - পাঁচকড়ি দে.pdf/৬৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

छ्ज्-झछ्लy 8ዓ . করিয়া, ক্ৰ কুঞ্চিত করিয়া বলিলেন, “আপনাবু কথা আমি কিছুই বুঝিতে পারিতেছি না।” “তিনি অনন্তর ললিতা প্ৰসাদের দিকে ফিরিয়া অতি রুষ্টভাবে বলিলেন, “ললিতা প্ৰসাদ বাবু, আপনার পিতাঠাকুর আসিলে তঁহাকে বলিবেন, এই সপ্তাহের মধ্যে আমি টাকা চাই ।” ললিতা প্ৰসাদ যুবক মাত্ৰ, গুরুগোৰিন্দ সিংহের রূঢ় কথায় ও কথাটা অপমানজনক ভাবিয়া তিনি ক্রুদ্ধ হইয়া উঠিলেন। বলিলেন, “নতুবা আপনি কি করিবেন ?” গুরুগোবিন্দ অতি গম্ভীরভাবে বলিলেন, “তাহা হইলে আমাদের সম্প্রদায়ের সহিত আপনাদের বোঝা-পড়া হইবে।” এই বলিয়া মুহূৰ্ত্ত মধ্যে গুরুগোবিন্দ সিংহ গাদী হইতে বাহির হইয়া গেলেন। ললিতা প্ৰসাদ বিস্মিতভাবে বলিলেন, “ওর সম্প্রদায় আমাদের কি করিবে ?” অক্ষয়কুমার সংক্ষেপে কহিলেন, “খুন।” ললিতা প্ৰসাদ ও উমিচাদ উভয়েই শঙ্কিতভাবে বলিলেন, “কাহাকে খুন করিবে ?” অক্ষয়কুমার বলিলেন, “কাহাকে খুন করিবে, কেমন করিয়া বলিব ? তবে যে এই সম্প্রদায়ের কোপে পড়িবে, তাহারই খুন হইবার সমধিক সম্ভাবনা আছে। হুজুরীমলকে এই সম্প্রদায়ই খুন করিয়াছে।” ললিতাপ্ৰসাদ নিতান্ত বিস্মিতভাবে জিজ্ঞাসা করিলেন, “কেন ?” অক্ষয়কুমার বলিলেন, “কেন ? যেহেতু হুজুরীমল সাহেব এই সম্প্রদায়ের দশ হাজার টাকা লইয়া চম্পট দিতেছিলেন। কে জানে, যে স্ত্রীলোকটিকে লইয়া পলাইতেছিলেন, সে এ সম্প্রদায়ের নহে। সে-ও এই সম্প্রদায়ের কোপে পড়িয়াছিল। সেজন্য উভয়েই খুন হইয়াছে।”