পাতা:হত্যা রহস্য - পাঁচকড়ি দে.pdf/৬৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

श्७-६न? 8პა উমিচান্দ আশ্চৰ্য্যান্বিত হইয়া বলিল, “সে চাবী নিশ্চয়ই কেহ লইয়াছিল।” তৎপরে একটু চিন্তিতভাবে বলিল, “কিন্তু অপর কেহ গদীতে আসিয়া সিন্দুক খুলিলে নিশ্চয়ই ধরা পড়িত। গদীতে সৰ্ব্বদাই লোক পাহারায় থাকে ৷” অক্ষয়কুমার উঠিলেন। বলিলেন, “দেখা যাক, কতদূর কি হয়।” তিনি ললিতা প্ৰসাদ ও উমিচাদকে থানায় লাস সেনাক্ত করিবার জন্য পাঠাইয়া দিয়া নগেন্দ্ৰনাথের সহিত হাওড়া ষ্টেশনের দিকে চলিলেন । সত্যকথা বলিতে কি, নগেন্দ্ৰনাথ এ খুনের যে কোনকালে কোনরূপ কিনারা হইবে, এ বিষয়ে হতাশ্বাস হইতেছিলেন। কিন্তু অক্ষয়কুমার হতাশ হন নাই ; তিনি নগেন্দ্ৰনাথের মনের ভাব বুঝিয়ো বলিলেন, “ইহারই মধ্যে হাল ছাড়িয়া দিলে চলিবে কেন ? আমাদের হতাশ হইবার কারণ নাই । আমরা অনেক বিষয় জানিতে পারিয়াছি।”

  • আমি ত মনে করিতেছি, আমরা কিছুই জানিতে পারি নাই।”

“কেন ? এই প্রথম-আমরা একটা লাসের পরিচয় পাইয়াছি । জানিয়াছি, তিনি আমাদের বিখ্যাত গদীয়ান হুজুরীমল বাবু-মহাশয় লোক, ধাৰ্ম্মিক ও দানশীল। আরও জানিয়াছি যে, এই সদাশয় ধাৰ্ম্মিক দানশীল ধনী গদীয়ান পরের দৃশ হাজার টাকা আত্মসাৎ করিয়া একটা স্ত্রীলোকের সঙ্গে বোম্বে পলাইতেছিলেন। আমরা আরও জানিয়াছি যে, এই টাকা পাঞ্জাবের এক সম্প্রদায়ের ; সেই সম্প্রদায়ের চিহ্ন সিন্দুরমাখা শিব ।” “হা, এ সব সপ্রমাণ হয় ত-কথা বটে ; কিন্তু হুজুরীমল খুনী হইয়াছেন ব্যতীত আর কিছুই সপ্ৰমাণ হয় নাই।” “ক্রমে সবই সপ্ৰমাণ হইবে-ভয় নাই। উপস্থিত এখন একবার হুজুরীমলের চন্দননগরের বাড়ীটা দেখা যাক ৷” 夜ー8