পাতা:হত্যা রহস্য - পাঁচকড়ি দে.pdf/৬৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ত্রয়োদশ পরিচ্ছেদ যখন অক্ষয়কুমার দেখিলেন যে, যমুনা কতক প্ৰকৃতিস্থ হইয়াছে, তখন তিনি বলিলেন, “আপনাকে আরও দুই-একটা কথা জিজ্ঞাসা করিতে ইচ্ছা! করি।” () যমুনা মৃদুস্বরে বলিল, “বলুন।” অক্ষয়কুমার বলিলেন, “বড় বাজারে রাণীর গলিতে আপনাদের দাসী রঙ্গিয়া হুজুরীমল বাবুর সঙ্গে রাত বারটার সময়ে দেখা করিয়াছিল ; সেই সময়ে হুজুরীমল খুন হন।” যমুনা ব্যগ্ৰভাবে বলিল, “তবে কি সে তাকে খুন করেছে ?” “না-তাহার সঙ্গে আর একজন পুরুষ মানুষ ছিল। তাহারা দুইজনে গঙ্গার ধারে যায় ; তাহার পর সেখানে রঙ্গিয়াও খুন হয়। তার সঙ্গী নিশ্চয়ই তাহাকে খুন করে নাই ; কারণ তাহা হইলে সিন্দুরমাখা শিবের দরকার হইত না ।” যমুনা চমকিত হইল। অক্ষয়কুমারের তীক্ষদৃষ্টি তাহ দেখিল। তিনি বলিলেন, “এ বিষয়ে আপুনি কি জানেন ?” " قد যমুনা কম্পিতম্বরে কহিল, “কি-কি-কি বিষয়ে ?” অক্ষয়কুমার পকেট হইতে তাড়াতাড়ি শিবলিঙ্গটি বাহির করিয়া যমুনার ক্ৰোড়ে নিক্ষেপ করিয়া কহিলেন, “এই--এই বিষয়ে।” সহসা কেহ গায়ের উপরে সাপ ফেলিয়া দিলে যেরূপ হয়, যমুনারও : ঠিক তাহাই হইল। সে একবার বিস্ফারিতনয়নে অঙ্কন্বিত শিবলিদেয় ।