পাতা:হত্যা রহস্য - পাঁচকড়ি দে.pdf/৭১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুৰ্দশ পরিচ্ছেদ অক্ষয়কুমার একবার রুষ্টভাবে নগেন্দ্রনাথের দিকে চাহিয়া মুখ ফিরাইয়া লাইলেন। পরে যমুনাকে বলিলেন, “যদি আমার সন্দেহ না ঘুচাইয়া যাইতে চাও, যদি ভয় পাইয়া থাক, তবে যাও।” যমুনা বিস্মিতভাবে অক্ষয়কুমারের দিকে চাহিয়া বলিল, “আমি ভয় পাইব কেন ?” বলিয়া সে ধীরে ধীরে আবার কোচের উপর বসিল । বসিয়া অতি মৃদুস্বরে বলিল, “বলুন।” অক্ষয়কুমারের নিৰ্ম্মম ব্যবহারে নগেন্দ্রনাথের ভয়ানক রাগ হইল। তাহার ইচ্ছা হইল, একটা মুষ্ট্যিাঘাত অক্ষয়কুমারের মস্তকে বসাইয়া দেন, কিন্তু তাহা তিনি করিলেন না। ভাবিলেন, “ডিটেকটিভ কাজে যদি এই রূপ নৃশংস হইতে হয়, তাহা হইলে ইহা ভদ্রলোকের কাজ নয়।” অক্ষয়কুমার কিয়ৎক্ষণ যমুনাকে কোন কথা জিজ্ঞাসা করিলেন না। তাহাকে প্ৰকৃতিস্থ হইবার জন্য সময় দিলেন। যখন তিনি দেখিলেন যে, যমুনা অনেকটা সুস্থ হইতে পারিয়াছে, তখন তিনি জিজ্ঞাসা করিলেন, “আপনি সিন্দুর-মাখা শিব দেখিয়া মুছিত হইলেন কেন ?” যমুনা নতশিরে ধীরে ধীরে বলিল, “ওটা দেখে আমার মেসো মহাশয়ের কথা মনে পড়েছিল, তাই-” ቆ፭ “র্তার সঙ্গে এর কি সম্বন্ধ আছে ?”