পাতা:হত্যা রহস্য - পাঁচকড়ি দে.pdf/৯৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ԳV) @T-エ তাই বিশ্বাস করিয়াছে; আমি সে সয়তানীকে খুব চিনি। যমুনাদাস খুন क८द्र नाझे ।” “তবে কাহাকে দিয়া খুন করাইয়াছে মনে করেন ?” “ললিতা প্ৰসাদ-ললিতা প্ৰসাদ—তাকেই সয়তানী ভালবাসে, তার জন্যে প্ৰাণ দিতে পারে ; আমি জানি, তাহার দ্বারাই সে আমার স্বামীকে থুন করিয়াছে।” রমণীর কথায় অক্ষয়কুমারের বিস্ময় চরমসীমায় উঠিয়াছিল। তিনি অবান্মুখে রমণীর দিকে চাহিয়া রহিলেন। রমণী কিয়ৎক্ষণ পরে বলিলেন, “আমি চলিলাম, সয়তানী যদি পালায়, তবে আমার স্বামীর রক্ত তোমার উপর-অামার শাপ তোমার উপর।” অক্ষয়কুমার কথা কহিবার পূর্বেই তিনি চঞ্চলচরণে সে কক্ষ হইতে বাহির হইয়া গেলেন । হুজুরীমলের স্ত্রীর কথা শুনিয়া অক্ষয়কুমার কেবল যে বিস্মিত হইলেন, এরূপ নহে-তিনি স্তম্ভিত হইয়া গেলেন। ভাবিলেন, সংসারে লোকে যাহা ভাবে, তাহ প্ৰায়ই হয় না, এই হুজুরীমল সহরে খুব বড়লোক বলিয়া গণ্য ছিল। তাহাকে ধাৰ্ম্মিক, দানশীল-অতি বদ্যান্য লোক বলিয়া সকলে জানিত। কিন্তু কি আশ্চৰ্য্য, এই বুড়া বদমাইস সকলের চােখে ধূলি দিয়া ভিতরে ভিতরে কি ভয়ানক কাজই না করিতেছিল ? দাসী গঙ্গার সঙ্গে তাহার প্রণয়-কি ঘুণ ! আবার তাহাকে লইয়া দেশ ছাড়িয়া পলাইতেছিল ? পরের টাকা লইয়াও চম্পট দিতেছিল, কি ভয়ানক ! আমি যাহা ভাবিতেছিলাম, এই মাগীর কথায় একদম সব উণ্টইয়া গেল, দেখিতেছি। যাহা হউক, সহজে ইহার কথাও বিশ্বাস করা যায় না। স্ত্রীলোকের রাগ হইলে সব করিতে পারে, সব বলিতে পারে। দেখা যাক, কতদূর কি হয়।