পাতা:হত্যা রহস্য - পাঁচকড়ি দে.pdf/৯৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

- t-R श्ऊji-द्धश्ला কুমারের মুখের দিকে চাহিল। ক্ষণপরে ধীরে ধীরে বলিল, “কেন আংটীর কি হইয়াছে ?” গঙ্গা বলিল, “ইনি বলিতেছেন, এ আংটী আমার হাতে ছিল।” যমুনা মৃদুস্বরে বলিল, “না, আংটাটা গঙ্গার হাত হইতে বাগানে পড়িয়া গিয়াছিল। প্রায় দু মাস ঘাসের মধ্যে পড়িয়া ছিল, কেহ খুজিয়া পায় নাই। আমি দশ-পনের দিন হইল, খুজিয়া পাইয়াছিলাম। পাছে আবার হারাইয়া যায় বলিয়া নিজের হাতে পরিয়াছিলাম। গঙ্গাকে দিতে গেলে সে বলিল, “তোমার হাতে বেশ মানাইয়াছে, তোমার হাতেই থাক।” সেই পৰ্য্যন্ত আমার হাতেই ছিল । তিন-চারিদিন হইল, তাহাকে দিয়াছি। এ আংটীর কি হইয়াছে ?” অক্ষয়কুমার অতি গম্ভীরভাবে বলিলেন, “যে রাত্রে হুজুরীমল বাবু খুন হন, সেইদিন একটি স্ত্রীলোক তাহার সঙ্গে দেখা করিতে গিয়াছিল। তঁহার একজন ভৃত্য সেই স্ত্রীলোকের হাতে এই আংটা দেখিতে পায়। তাহা হইলে কি আপনি সে রাত্রে কলিকাতায় গিয়া হুজুরীমল বাবুর সহিত দেখা করিতে গিয়াছিলেন ?” যমুনা কোন উত্তর না দিয়া চুপ করিয়া দাড়াইয়া রহিল। অক্ষয়কুমার অতি কঠোরভাবে বলিলেন, “চুপ করিয়া থাকিলে চলিবে না।-- তোমাকে ইহার ঠিক জবাব দিতে হইবে।” যমুনা কম্পিত্যকণ্ঠে বলিল, “আমি-আমি-ই। আমি-” “কি আমি ? স্পষ্ট বল।” “আমি গিয়াছিলাম।” “তুমি একবার আমাকে মিথ্যাকথা বলিয়াছিলোঁ, ঠিক করিয়া বল।” যমুনাব চক্ষুদ্বয় সজল হইল। সে বাস্পরুদ্ধ কম্পিত্যকণ্ঠে বলিল, “হা, আমি-আমিই সে রাত্রে তাহার সঙ্গে দেখা করিয়াছিলাম।”