পাতা:হনুমানের স্বপ্ন ইত্যাদি গল্প - পরশুরাম.pdf/১০৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

রাতারাতি

চোখে চশমা, মাথায় টাক, কিন্তু গোঁপ জোড়াটি বেশ বড় এবং মোম দিয়া পাকানো। সতী সাধ্বী যেমন সর্বহারা হইয়াও এয়োতের লক্ষণ শাঁখা-জোড়াটি শেষ পর্যন্ত রক্ষা করে, বেচারা সুষেণবাবুও তেমনি সমস্ত কর্তৃত্ব খোয়াইয়া পুরুষত্বের চিহ্ণ স্বরূপ এই গোঁপ জোড়াটি সযত্নে বজায় রাখিয়াছেন। ঘরে আসিয়া ঘাড় নীচু করিয়া সবিনয়ে বলিলেন‘ডেকেছ?’

 জিগীষা দেবী ছেলেদের দেখাইয়া বলিলেন- ‘এঁরা বাণী নিতে এসেছেন।’

 সুষেণবাবু চোখ কপালে তুলিয়া বললেন ‘বানি? এই যে সেদিন ননি-সেকরা বিয়াল্লিশ টাকা নিয়ে গেল?’

 জিগীষা দেবী ভ্রূকুটি করিয়া বলিলেন, ‘ঈডিয়ট! সেকরার বানি নয়, আমার মুখের বাণী। যাও, সবুজ ফাউণ্টেন পেনটা আর এক শীট কাগজ নিয়ে এস।’

 সুষেণবাবু কাগজ কলম আনিলেন। জিগীষা দেবী খচখচ করিয়া কয়েকটা লাইন লিখিয়া বলিলেন—‘শুনুন। ওগো ছেলেরা, আমি বুঝেছি তোমাদের ব্যথা, কিন্তু জগৎ পারবে না তা বুঝতে, কারণ স্থবিরের প্রাচীন-প্রস্তর-যুগ শেষ হয় নি এখনও। প্রবীণের রক্ত আর তরুণের খুন, ধনীর রুধির আর শ্রমীর লেহু, রেড়ির তেল আর ঝরনার জল কখনই মিশ খায় না। অতএব তোমাদের হ'তে হবে

১০১