রাতারাতি
নিয়ে গেল। থাকতে পারলুম না, চুপি চুপি পালিয়ে এলুম, একটা কিছু ভয়ংকর করতে চাই চুরি, ডাকাতি, খুন।
গোবিন্দ। রাখাল সিংগির মেয়েটা বিশ্রী বুঝি?
চোর। ভগবান জানেন আর বাবা জানেন। যার দেহের মনের কোনও সংবাদ আমি জানি না তাকে বিয়ে করি কি ক’রে বলুন তো? পাড়াগেঁয়ে বাপ-মার মেয়ে, বিদেশে মামার কাছে মানুষ হয়েছে, মামা শুনেছি একটি আস্ত পাগল, ভাগনীটিকে নাকি বন্য জন্তু বানিয়েছেন। আমার মানসী প্রিয়া অন্য প্যাটার্নের, সিন্থেসিস অভ পার্ফেক্শন।
গোবিন্দ। কি রকম শুনি।
চোর সোৎসাহে বলিল ‘শুনবেন?’ পাঞ্জাবির পাশের পকেট হইতে একটা মোটা খাতা টানাটানি করিয়া বাহির করিল।
গোবিন্দ। কি ওটা, সিঁদকাঠি?
চোর। উঁহু, কবিতার খাতা। শুনুন।—জানতে চাও কি হৃদয়রানী, অদেখা ঐ মূর্তিখানি, রূপে গুণে কাল্চরেতে কেমন হ’লে ধন্য মানি—
গোবিন্দ। থাক থাক, আমি বুঝে নিয়েছি। সেই মেয়েটার নাম কি?
চোর। ডাকনাম নেড়ী, ভাল নাম জানি না।
১১১