পাতা:হনুমানের স্বপ্ন ইত্যাদি গল্প - পরশুরাম.pdf/১২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

রাতারাতি

 উপায়ান্তর না দেখিয়া নেড়ী বাঁধন খুলিয়া দিল।

 গোবিন্দবাবু বলিলেন ‘নেড়ী, যা লক্ষ্মীটি, খানকতক গরম গরম কাটলেট ভেজে আন, আর এক কাপ চা। পাশের ঘরে এঁর শোবার ব্যবস্থা ক’রে দে——এত রাত্রে বেচারা যায় কোথা।’

 নেড়ী মামার আজ্ঞা পালন করিতে গেল।

 গোবিন্দ। কেমন দেখলে কাত্তিক বাবাজী?

 কার্তিক। চমৎকার! আশ্চর্য! এক্স‍্কুইজিট!

 গোবিন্দ। মানসী প্রিয়ার সঙ্গে মিলছে?

 কার্তিক। হবহু। কিন্তু বাবা কি করবেন তাই ভাবছি। এ নেড়ী তো তাঁর মানসী নেড়ী নয়!

 গোবিন্দ। কোনও ভয় নেই তোমার, আমার শিক্ষায় মোটেই খুঁত পাবে না। এই নেড়ী যখন শ্বশুরবাড়ি যাবে, তখন লাল চেলি প’রে এক হাত ঘোমটা টেনে পঞ্চাশটা গুরুজনকে ঢিপ ঢিপ ক’রে প্রণাম করবে, রান্নাঘরে গিয়ে কোমর বেঁধে দু-শ লোকের শাকের ঘণ্ট রাঁধবে! আবার ওকে যদি সিমলা দিল্লিতে ভাইসরয়ের ডান্সে নিয়ে যাও তবে লাট-বেলাটের সঙ্গে অক্লেশে বার-কুড়িক নেচে দেবে, জার্মান কনসলের কানে চিমটি কাটবে, সার্ জম্বুস্বামী আয়ারের টিকি ধ’রে টানবে।

১১৭