পাতা:হনুমানের স্বপ্ন ইত্যাদি গল্প - পরশুরাম.pdf/১৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

হনুমানের স্বপ্ন ইত্যাদি গল্প

করতেন, আর একখানি ‘শৌখিন মিহি বল্কল গায়ে তেড়চা ক’রে বাঁধতেন।’

 চিংড়ি বললে—‘খুব আর্টিস্টিক সাজ। আচ্ছা মামা, স্টেজে ব্রাউন রঙের জর্জেট প’রলে ঠিক বল্কলের মতন দেখাবে না?’

 ‘নিশ্চয়। তার পর শোন্। —ঋষিপত্নীদের সাজ ও ঐরকম। মাথায় কাপড় টানরার উপায় ছিল না, লজ্জা প্রকাশ করবার দরকার হ’লে কিঞ্চিৎ জিহ্বা প্রদর্শন করতেন। উঁচুদরের মুনিঋষিরা, যাঁরা রাগ-দ্বেষ-শীতোষ্ণাদি দ্বন্দ্বেব ঊর্ধ্বে উঠতেন, তাঁদের কিছুই দরকার হ’ত না; তবে তাঁরা লোকালয়ে যেতে পারতেন না, কুকুর ঘেউ ঘেউ করত। সাধারণ ঋষিরা বঙ্কলই ধারণ করতেন, কিন্তু ছেলে-ছোকরাদের ব্যবস্থা ছিল বেল-কাঠের কৌপীন।’

 বঙ্কা বললে—‘বেল-কাঠের?’

 স্থাঁ। কর্তারা বলতেন —তোদের এখন ব্রহ্মচর্যের সময়, বেশী বিলাসিতা ভাল নয়। তোরা বেদ পড়বি, ধেমু চরাবি, কাঠ কাটবি, বনে-বাদাড়ে ঘুরে হরদম বল্কল ছিঁড়বি। কাঁহাতক যোগাব? তার চেয়ে কাঠের কৌপীন পরিধান কর, তোদের পুত্রপৌত্রাদিক্রমে টিকবে।

 বঙ্কা বললে— ‘কিন্তু কাছা দেবে কি ক’রে?’

 ‘কেন দেবে না। তিন নম্বর চিত্র দেখ।’

১২৮