পাতা:হনুমানের স্বপ্ন ইত্যাদি গল্প - পরশুরাম.pdf/১৫৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

দশকরণের বানপ্রস্থ

রদিন ভোরবেলা দশকরণ রথারূঢ় হ’য়ে রাজ্য ত্যাগ করলেন। সঙ্গে নিলেন শুধু একটি নাতিবৃহৎ থলি। বহুদূরে এসে রথ আর সারথিকে ফিরিয়ে দিলেন, তার পর থলিটি কাঁধে নিয়ে গভীর অরণ্যে প্রবেশ করলেন।

 দশকরণ একটি গাছের তলায় ব’সে একান্তঃকরণে ব্রহ্মার আরাধনা করতে লাগলেন। তিন দিন তিন রাত অতিক্রান্ত হ’ল, অবশেষে ব্রহ্মা দর্শন দিলেন। জিজ্ঞাসা করলেন, ‘কি চাও বংস?’

 দশকরণ সাষ্টাঙ্গপ্রণিপাতান্তে বললেন, ‘প্রভু, আমার পিতৃদত্ত নামটি সার্থক করুন।’

 ‘তার মানে?’

 ‘আমার প্রত্যেক ইন্দ্রিয় দশগুণ ক’রে দিন। অর্থাৎ বিংশতি চক্ষু, বিংশতি কর্ণ, দশ নাসা, দশ জিহ্বা, দশগুণ, বিস্তৃত ত্বক্।’

 ‘আর বাক্‌-পাণি-পাদাদি কর্মেন্দ্রিয়? হৃৎ-ক্লোমজঠরাদি যন্ত্র?’

 ‘তাও দশ-দশগুণ।’

 বিধাতা সবিস্ময়ে বললেন, ‘অর্থাৎ তুমি একাই দশজন, হ’তে চাও। তোমার মতলবটা কি?’

 ‘প্রভু, তবে খুলে বলি শুনুন। আমার দেহটা তো মোটে সাড়ে তিন হাত বানিয়েছেন, আর ইন্দ্রিয়াদি যা

১৫১