হনুমানের স্বপ্ন ইত্যাদি গল্প
দিয়েছেন তাও ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র। কতই বা দেখব, কতই শুনব, কতই খাব, কতটুকুই বা ভোগ করব? আমি মহালোভী পুরুষ, আমার ইন্দ্রিয় বর্ধন ক’রে ভোগশক্তি দশগুণ বাড়িয়ে দিন।’
‘বটে! কিন্তু দশ-দশটা আলাদা আলাদা দরকার কি, একটা প্রকাণ্ড দেহ যদি দিই, তাতে সব অঙ্গই তো বড় বড় হবে।’
‘আজ্ঞে, আমি ভেবে দেখেছি, লাভ হবে না। হাতির দেহ প্রকাণ্ড, তার সুখভোগের মাত্রা তো ইঁদুরের চেয়ে বেশী নয়। সংখ্যা না বাড়লে ভোগ বাড়বে না।’
‘তুমি খুব হিসাবী দেখছি। আচ্ছা, মন নামে একটা অন্তরিন্দ্রিয় আছে, তা কটা চাও?’
‘সে কথা তো ভাবি নি প্রভু। আচ্ছা মন একটাই থাকুক।’
‘উত্তম প্রস্তাব। এরূপ জীবকল্পনা আমার মাথাতেও আসে নি, তোমার উপরেই পরীক্ষা হ’ক। কিন্তু সামলাতে পারবে তো? যদি সর্দি হয় তো দশটা নাক হাঁচবে, যদি জ্বর হয় তবে বিশটা পা কামড়াবে। আরও অসুবিধা আছে —লোকে যদি রাক্ষস ভেবে তোমাকে আক্রমণ করে?’
‘প্রভু, আপনি সুখ দুঃখ দুই-ই দিয়েছেন, তবু তো লোকে জীবন ধারণ করতে চায়। আমি দশটা জীবন এক—
১৫২