পাতা:হনুমানের স্বপ্ন ইত্যাদি গল্প - পরশুরাম.pdf/১৬৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

দশকরণের বানপ্রস্থ

গেছে। কিন্তু গিয়েই বা কি করবে, এই সাত বৎসর পরে তার ছেলে তো আর দখল দেবে না। ধ্যানস্থ হ’য়ে দেখলেন, দশকরণ বেঁচে আছেন, দর্ভাবতীর নিকটেই ঘুরে বেড়াচ্ছেন। বিধাতা বৃদ্ধ ব্রাহ্মণের মূর্তিতে তখনই সেখানে নেমে এলেন।

 গোপপল্লী। একটা মেটে ঘরের মটকায় চ’ড়ে দশকরণ খড় দিয়ে চাল ছাইছেন, ঘরের সামনে একটি গোপনারী. শিশুকে খাওয়াচ্ছে আর হাত নেড়ে দশকরণকে কাজ বাতলাচ্ছে।

 ব্রহ্মা ডাকলেন, ‘ওহে দশকরণ, হচ্ছে কি?’

 দশকরণ নেমে এসে অপরিচিত ব্রাহ্মণকে প্রণাম ক’রে বললেন, ‘কে আপনি দ্বিজবর?’

 ‘আরে আমি ব্রহ্মা, তোমার খোঁজ নিতে এসেছি। তার পর তোমার গবেষণা কতদূর এগল? চেহারাটা চাষাড়ে হয়ে গেছে দেখছি। এখন করা হয় কি, আছ কেমন?’

 ‘খুব ভাল আছি প্রভু। এই গৃহের স্বামী অসুস্থ, অন্য পুরুষ নেই, বর্ষাও আসন্ন, তাই আমিই ঘরের চালটা মেরামত ক’রে দিচ্ছি।’

 ‘সুখ হচ্ছে?’

 ‘পরিশ্রম হচ্ছে, অভ্যাস নেই কিনা। সুখী হবে এই গোপদম্পতি।’

১৫৭