পাতা:হনুমানের স্বপ্ন ইত্যাদি গল্প - পরশুরাম.pdf/১৭১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

তৃতীয়দ্যুতসভা

দিলেন না; বললেন, তাঁর বার্তা অতি গোপনীয়, সাক্ষাতে নিবেদন করবেন।’

 সহদেব বললেন, ‘মহারাজ এখন রাজকার্যে ব্যস্ত, ওবেলা আসতে বল।’

 সহদেবের হাত থেকে নিস্তার পাবার জন্য যুধিষ্ঠির ব্যগ্র হয়েছিলেন। বললেন, ‘না না, এখনই তাঁকে নিয়ে এস।’

 আগন্তক বক্রপৃষ্ঠ প্রৌঢ়, বলিকুঞ্চিত শীর্ণ মুণ্ডিত মুখ, মাথায় প্রকাণ্ড পাগড়ি, গলায় নীলবর্ণ রত্নহার, পরনে ঢিলে ইজের, তার উপর লম্বা জামা। যুক্তকর কপালে ঠেকিয়ে বললেন, ‘ধর্মরাজ যুধিষ্ঠিরের জয়।’

 যুধিষ্ঠির জিজ্ঞাসা করলেন, ‘কে আপনি সৌম্য?’

 আগন্তুক উত্তর দিলেন, ‘মহারাজ, ধৃষ্টতা ক্ষমা করবেন, আমার বক্তব্য কেবল রাজকর্ণে নিবেদন করতে চাই।’

 যুধিষ্ঠির বললেন, ‘সহদেব, তুমি এখন যেতে পার। ছোলার বস্তাগুলো খুলে দেখ গে, পোকাধরা না হয়।’ সহদেব বিরক্ত হ’য়ে সন্দিগ্ধ মনে চ’লে গেলেন।

 আগন্তুক অনুচ্চস্বরে বললেন, ‘মহারাজ, আমি সুবলপুত্র মৎকুনি, শকুনির বৈমাত্র ভ্রাতা।’

 ‘বলেন কি, আপনি আমাদের পূজনীয় মাতুল, প্রণাম প্রণাম —কি সৌভাগ্য—এই সিংহাসনে বসতে আজ্ঞা হ’ক।’

১৬৫