হনুমানের স্বপ্ন
তাঁহার পারণা। একটি হষ্টপুষ্ট মনুষ্য আনিতে বলিয়াছেন। তোমাকে বেশ স্থূলকায় দেখিতেছি, তোমার দ্বারাই তাঁহার ক্ষুন্নিবৃত্তি হইবে।’
ভীমের কৌতূহল হইল। বলিলেন—‘বেশ, চল।’
অনেক বনজঙ্গল গিরি নদী অতিক্রম করিয়া রাক্ষস ভীমকে একটি প্রকাণ্ড পর্বতগুহার দ্বারদেশে আনিল। ডাকিল—‘মাতঃ, আহার্য উপস্থিত।’
ভিতর হইতে রাক্ষসী বলিল—‘চিরজীবী হও বৎস, তোমাকে গর্ভে ধারণ করা সার্থক হইল।’
অতঃপর ভীম রোমাঞ্চিত হইয়া শুনিলেন রাক্ষসী তাহার এক চেটীকে বলিতেছে ‘হঞ্জে, মনুষ্যটিকে বড় বড় কষিয়া কর্তন কর। উত্তমরূপে সিদ্ধ হইলে কিঞ্চিৎ গন্ধক স্ফোটন দিয়া সন্তলন করিয়া নামাইও। বক্ষস্থল ও বাহুদ্বয় ছেলের জন্য রাখিও, পদদ্বয় তোমার, মুণ্ডটি আমি খাইব।’
রাক্ষস বলিল ‘মাতঃ, একবার বাহিরে আসিয়া দেখ কেমন শিকার আনিয়াছি।’
রাক্ষস বলিল —‘ও আর দেখিব কি সব মানুষই সমান, ভাল করিয়া রাধিলে কে ঋষি কে চণ্ডাল টের পাওয়া যায় না। আমার এখন সময় নাই, চুল বাঁধিতেছি।’
রাক্ষস বলিল ‘চুল বাঁধা এখন থাকুক, একবার বাহিরে আসিয়া দেখ।’
২৯