পাতা:হনুমানের স্বপ্ন ইত্যাদি গল্প - পরশুরাম.pdf/৫৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

গুরুবিদায়

মানিল না। ব্রহ্ম নিখিল চরাচরে থাকিতে পারেন, কিন্তু আকের ছিবড়ায় থাকিবেন কোন্ দুঃখে? একথা মনে করিতেই চিত্ত বিদ্রোহী হয়, পিত্ত চটিয়া ওঠে। ছি ছি বলিলে যথেষ্ট বলা হয় না, তোবা তোবা বলিতে ইচ্ছা করে।

 চাটুজ্যে মহাশয় শুনিয়া বলিলেন ‘তাইতো, বেশী বাড়াবাড়ি হচ্ছে। এই নগেনটাই যত নষ্টের গোড়া। দেশী ঠাকুরমশায় তোর দিদির মনে না ধরে তো একটা জটাধারী গাঁজাখোর আনলেই তো পারতিস।’

 নগেন বলিল ‘বা রে, আমি কেমন ক’রে জানব যে দিদির অত ভক্তি হবে?’

 বংশলোচন কাতরকণ্ঠে জিজ্ঞাসা করিলেন ‘এখন কি করা যায়?’

 বিনোদ বলিলেন ‘একটা ভৈরব-টৈরবী ধ’রে এনে তুমিও সাধনা শুরু কর, বিষে বিষক্ষয় হয়ে যাক। আর যদি সাহস থাকে তবে গিন্নীকে মনের কথা খুলে বল, খল্বিদংকে অর্ধচন্দ্রং দাও।’

 নগেন বলিল ‘তা হলে দিদি ভয়ংকর চটবে।’

 কথাটা ভয়ংকর সত্য, পত্নীর ধর্মাচরণে বাধা দেওয়া সহজ কথা নয়। বংশলোচন আকুল চিন্তাসাগরে হাবুডুবু খাইতে লাগিলেন। এমন যে বিচক্ষণ চাটুজ্যে মহাশয় আর আর তীক্ষ্ণবুদ্ধি বিনোদ উকিল, ইঁহারাও প্রতিকারের কোনও

৪৭