পাতা:হনুমানের স্বপ্ন ইত্যাদি গল্প - পরশুরাম.pdf/৬১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

মহেশের মহাযাত্রা

বলেন —দিব্যং দদামি তে চক্ষুঃ। সেই দিব্যদৃষ্টি পেলে তবে সব দেখতে পাওয়া যায়।’

 নগেন জিজ্ঞাসা করিল—‘আপনি দেখতে পেয়েছেন চাটুজ্যে মশায়?’

 ‘জ্যাঠামি করিস নি। এই কলকাতা শহরে রাস্তায় যারা চলাফেরা করে— কেউ কেরানী, কেউ দোকানী, কেউ মজুর, কেউ আর কিছু—তোমরা ভাব সবাই বুঝি মানুষ। তা মোটেই নয়। তাদের ভেতর সর্বদাই দু-দশটা ভূত পাওয়া যায়। তবে চিনতে পারা দুষ্কর। এই রকম ভূতের পাল্লায় পড়েছিলেন মহেশ মিত্তির।’

 ‘কে তিনি?’

 ‘জান না? আমাদের মজিলপুরের চরণ ঘোষের মামার শালা। এককালে তিনি কিছুই মানতেন না, কিন্তু শেষ দশায় তাঁকেও স্বীকার করতে হয়েছিল।’

 সকলে একবাক্যে বলিলেন- ‘কি হয়েছিল বলুন না চাটুজ্যে মশায়!’

 চাটুজ্যে মহাশয় হুাঁঁকাটি হাতে তুলিয়া বলিতে আরম্ভ করিলেন।

৫৫