পাতা:হনুমানের স্বপ্ন ইত্যাদি গল্প - পরশুরাম.pdf/৬৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

মহেশের মহাযাত্রা

‘কেউ-উ নেই, আমি দশ মিনিটের মধ্যে প্রমাণ ক’রে দিচ্ছি।’ হরিনাথ কুণ্ডু মহা উৎসাহে বন্ধুর পিঠ চাপড়ে বললেন—‘লেগে যাও।’

 তারপর মহেশবাবু ফুলস্কাপ কাগজ আর পেনসিল নিয়ে একটি বিরাট অঙ্ক কষতে লেগে গেলেন। ঈশ্বর আত্মা আর ভূত— এই তিন রাশি নিয়ে অতি জটিল অঙ্ক, তার গতি বোঝে কার সাধ্য। বিস্তর যোগ বিয়োগ গুণ ভাগ ক’ৱে হাতির শুঁড়ের মতন বড় বড় চিহ্ন টেনে অবশেষে সমাধান করলেন ঈশ্বর=০, আত্মা =ভূত =। *।

 বাচস্পতি বললেন ‘বদ্ধ উন্মাদ।’

 মহেশবাবু বললেন— ‘উম্মাদ বললেই হয় না। এ হ’ল গিয়ে দস্তুরমত ইণ্টিগ্রাল ক্যালকুলস। সাধ্য থাকে তো আমার অঙ্কের ভুল বার করুন।’

 হরিনাথ বললেন— ‘অঙ্ক-টঙ্ক আমার আসে না। বাচস্পতি মশায় যদি ভগবান দেখাবার ভার নেন তো আমি মহেশকে ভূত দেখাতে পারি।’

 বাচস্পতি বললেন— ‘আমার ব’য়ে গেছে।’

 মহেশবাবু বললেন ‘বেশ তো হরিনাথ তুমি ভূতই দেখাও না। একটার প্রমাণ পেলে আর সমস্তই মেনে নিতে রাজী আছি।’

 হরিনাথবাবু বললেন—‘এই কথা? আচ্ছা আসছে

৫৯