মহেশের মহাযাত্রা
ছিল তারা মনে মনে বললে —আজি রজনীতে হয় নি সময়।
পরদিন কলেজে হুলস্থূল বেধে গেল। সমস্ত ব্যাপার শুনে প্রিনসিপাল ভয়ংকর রাগ ক’রে বললেন— ‘অত্যন্ত শেমফুল কাণ্ড। দুজন নামজাদা অধ্যাপক একটা তুচ্ছ বিষয় নিয়ে হাতাহাতি! হরিনাথ তোমার লজ্জা নেই?’
হরিনাথবাবু ঘাড় চুলকে বললেন ‘আজ্ঞে আমার উদ্দেশ্যটা ভালই ছিল। মহেশকে রিফর্ম করবার জন্য যদি একটু ইয়ে ক’রেই থাকি তাতে দোষটা কি— হাজার হোক আমার বন্ধু তো?’
মহেশবাবু গর্জন ক’রে বললেন ‘কে তোমার বন্ধু?’
প্রিনসিপাল বললেন ‘মহেশ তুমি চুপ কর। উদ্দেশ্য যাই হ’ক, কলেজের ছেলেদের এর ভেতর জড়ানো একেবারে অমার্জনীয় অপরাধ। হরিনাথ তুমি বাড়ি যাও, তোমায় সাসপেণ্ড করলুম। আর মহেশ তোমাকেও সাবধান ক’রে দিচ্ছি—আমার কলেজে ভুতুড়ে তর্ক তুলতে পারবে না।’
মহেশবাবু উত্তর দিলেন —‘সে প্রতিশ্রুতি দেওয়া শক্ত। সকল রকম কুসংস্কার দূর করাই আমার জীবনের ব্রত।’
৬৩